পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লঙ্গে। ] কাহিনী লুপ্ত হয় নাই—এখনও লোকের মুখে মুখে শুনিতে পাওয়া যায়,- যোসকো নাহি দেয় মৌলা, উসকো দেয় আসফ উদ্দৌলা । আর এই যে আমরা অন্য পৰ্য্যাটকের বেশে হেথায় উপস্থিত—আমরা কি ! বলিতে পারি। যে আগামী কল্য আমাদের কি হইবে ? প্ৰাচীন কীৰ্ত্তিচিহ্ন ইত্যাদি দর্শন করিলে কেন জানি অজ্ঞাতভাবে হৃদয়ে একটা স্নান মৃত্যুর ছায়া আসিয়া পড়ে, এবং জগতের নশ্বরত্ব আপনা হইতে আসিয়া পরিস্ফুট হয়। এই সুবৃহৎ ইমামবাড়ার অনতি দূরে ছোট ইমামবাড় অবস্থিত, ইহা আকৃতিতে ঠিক বড় ইমামবাড়ারই মত-এইটি ছোট হইলেও কারুকাৰ্য্যাদিতে বড়টি হইতে শ্রেষ্ঠ। ছোট ইমামবাড়ার সম্মুখে একটী উদ্যান থাকায় এ স্থানের সৌন্দৰ্য্য বহু পরিমাণে বৃদ্ধি পাইয়াছে। নবাব আসিফ উদ্দৌলার | সময়ে লক্ষ্মৌ স্থাপত্যে শীর্ষস্থান অধিকার করিয়াছিল,--ইনি স্থাপত্যগৌরব বৃদ্ধি করিতে মুক্তহস্তে অর্থব্যয় করিতেন। সে সময়ে ভারতের কোন নরপতিই জাক জমকে তঁাহাকে পরাস্ত করিতে পারেন নাই। ছোট ইমাম- | বাড়া সাধারণতঃ হোসেনাবাদ ইমামবাড়া নামে পরিচিত, ইহা মহম্মদ আলীসাহেব প্ৰস্তুত করাইয়াছিলেন। ইহার সংলগ্ন যে উদ্যানের কথা আমরা পূর্বে লিপিবদ্ধ করিয়াছি, উহাতে বিশ্ব-বিখ্যাত তাজমহলের অনুকরণানুযায়ী একটা ক্ষুদ্র সৌধ আছে—তাজের ঠিক অনুকরণ যে হইতে পারেনা ইহা । বলাই বাহুল্য। হােসেনাবাদ ইমামবাড়ার প্রাঙ্গণের পশ্চিমদিকে একটী । অট্টালিকা আছে—তাহার নাম ইমামবাড়া সৌধ। ইহার উপরের গিণ্টিকরা : গম্বুজটী দেখিতে খুব সুন্দর। মহম্মদ আলী শাহ এবং তঁহার মাতা এখানে । সমাহিতা আছেন। নশীর উদ্দিন হাইদার বহু অর্থব্যয়ে রাজ-অন্তঃপুরচারিণী- “ , গণের বাসের নিমিত্ত কয়েকটা প্রাসাদ নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন, তন্মধ্যে যেটিতে র্তাহার বিবাহিত পত্নীগণ বাস করিতেন । তাহার নাম ছত্রমঞ্জিল। এই প্রাসাদ কৈসর-বাগের পার্থেই বিরাজিত। raper 'i'." t . প্রধান সৌধের শীর্ষদেশে স্বর্ণ-নিৰ্ম্মিত ছত্র রহিয়াছে বলিয়াই ইহার নাম ছত্ৰমঞ্জিল। ছত্রমঞ্জিল এখন Club House (ক্লাৰ হাউস) ও সাধারণের