পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SN-S সংগ্রহের নিপুণতার প্রশংসা না করিয়া থাকিতে পারা যায় না। বোম্বাই নগরের আম বিশেষ প্ৰসিদ্ধ, বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ মাসে তাহার আমদানী হইয়া থাকে। এখানকার আমের মধ্যেও আবার আফুস সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ । বাজারে নানা জাতীয় মানুষের ভিড়—বাঙ্গলা দেশের পর্য্যটকগণের দেখিবার ও জানিবার বটে । ভারতের প্রায় সকল দেশের লোকেরই মাথার উপর কোন না কোনরূপ পাগড়ী আছে, কেবল আমাদের বাঙলা দেশের লোকেরাই সে বিষয়ে উদাসীন। আমাদের এই পাগড়ীশূন্য মাথা সকলেরই বিশেষরূপে দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছে। বোম্বাইর এই মার্কেটে নানা জাতীয় সুগন্ধি পুষ্পের ও প্রচুর আমদানি হয়, গোলাপ, যুঁই, বেলা, চম্পক কত নাম করিব ? বাজারের দক্ষিণাংশের বিপণি সমূহই নানা জাতিয় পুষ্প স্তবক ও বহু প্ৰকার সুপক্ক ফলে সুশোভিত। এই মার্কেটের সুন্দর সুন্দর সৌধমালা, প্রচুর পরিমাণে নানাবিধ দ্রব্য ইত্যাদি দেখিলেই বোম্বাই নগরীর সুখ-সমৃদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়। যদি কেহ বোম্বাই নগরীর বাণিজ্য সমৃদ্ধির বিষয় উপলব্ধি করিতে চাহেন, তবে তাহার फूलद्र बांखांब । এখানকার তুলার বাজার দর্শন করা বিশেষ কৰ্ত্তব্য। ইহা নগরস্থ ফোর্ট হইতে প্ৰায় আধ মাইল দূরে কোলাবার নিকট দেড় মাইল স্থান ব্যাপিয়া অবস্থিত। এখান হইতে প্ৰতি বৎসর দশ লক্ষাধিক তুলার বস্তা ভিন্ন ভিন্ন দেশে রপ্তানি হইয়া থাকে। মার্চ হইতে মে মাস পৰ্য্যন্ত এখানকার বাজার সরগরম থাকে, তখন নানা জাতিয় বণিকগণের এস্তব্যস্ততার মধ্য দিয়া বোম্বাইর বাণিজ্য-লক্ষনীর মহিমাময়ী মূৰ্ত্তি প্ৰকটিত হয়। বাণিজ্য বিষয়ে যে আমরা কত পশ্চাতে পড়িয়া আছি এ নগরের গুজরাতি মারহাট ও পাসী বণিকগণের কাৰ্য্যাবলী পরিদর্শন করিলে তাহা হৃদয়ঙ্গম করিতে পারা যায়। বক্তৃতা দ্বারা জাতীয় জীবন উন্নত হয় না,-কৰ্ম্ম চাই। ধন্যবৃদ্ধি করিতে হইলে বাণিজ্যের সহায়তা ভিন্ন তাহা লাভ করিবার আশা আকাশ-কুসুম-কল্পনা। মাত্র। দেশীয় পল্লীতে এ নগরের অধিকাংশ ধনী মহাজনগণ বাস করিয়া থাকেন। এ স্থানে নগরের অত্যন্ত ঘনবসতি। এই পল্লীর মধ্য দিয়া প্যারেল পৰ্যন্ত গমন করিলে. নানা রঙ বেরঙের বাড়ী ঘর দর্শকের · “ሕማውS .