পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ। পুস্তকাগাররূপে ব্যবহৃত হইতেছে। নিম্মতলের কক্ষে পুস্তকালয় এবং উৰ্দ্ধতলে ক্লাবভবন। কি পরিবর্তন ! যে স্থানে নসীর উদ্দীনের সংগৃহীত বন্য-পশু সমূহ রক্ষিত হইত। তাহার নাম ছিল শাহ মঞ্জিল। নবাব নিজে ফারহাৎ-বক্স, হুজুর-বাগি, বিবিয়ারপুর প্রভৃতি প্রাসাদে বাস করিতেন। নবাৰ সয়াদৎ আলী খাঁ এই আনন্দোদ্যান নিৰ্ম্মাণ করিয়া তন্মধ্যস্থিত প্ৰমোদভবনে রাজপ্রাসাদ পরিবর্তন করেন। সয়াদৎ নগরের বহির্দিকে দিলখুস পৰ্য্যন্ত বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাসাদ নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। নবাব ওয়াজিদ আলীখা কৈসরবাগ এবং তাহার মধ্যস্থিত নানাবিধ সুন্দর সুন্দর সৌধরাজি নিৰ্ম্মাণ পূর্বক ফারহাৎ-বক্স পরিত্যাগ করিয়া উহাই বাসভবনে পরিণত করিয়া লইলেন। তিনি নদী-তীরবর্তী জেনােরল মার্টিন কর্তৃক নিৰ্ম্মিত, কতকগুলি অট্টালিকা ও তদসংলগ্ন ভূমি ক্রয় করিয়া কসরউল-সুলতান নিৰ্ম্মাণ করেন। ঐ সুরম্য প্ৰাসাদাভ্যন্তরে শিল্পনৈপুণ্যমণ্ডিত ጳ፡ রাজসিংহাসন প্ৰতিষ্ঠিত ছিল—উহ্য রাজকীয় দরবারাদির জন্য ব্যবহৃত হইত। এই নবাববংশ ইংরেজরাজের অনুগত হইবার পর হইতে এইরূপ বিধি প্ৰচলিত হইয়াছিল যে কোনও নবীন নবাবের রাজ্যাভিষেক সময়ে ইংরেজ রেসিডেণ্ট আসিয়া ভঁাহাকে সিংহাসনে বসাইতেন এবং ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ যে তঁাহার শাসনভার গ্রহণে স্বীকৃত হইতেছেন তাহা জ্ঞাপন নিমিত্ত নজর প্রদান করিতেন। এই অট্টালিকা এখন যাদুঘর ও পোষ্টাফিস রূপে ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে। এখানে দিল্লীর বহু সম্রাট, সাম্রাজ্ঞী ও নুরজাহান, জাহানারা, জীবনোল্লেস, ঔরঙ্গজেব, আকবর প্রভৃতির প্রতিমূৰ্ত্তি গজদন্তের উপর অতি সুন্দর রূপে অঙ্কিত আছে। লক্ষ্মৌতে দেখিবার জিনিষ বহু আছে, আমরা যে সকল স্থানের কথা উল্লেখ করিয়াছি সে সকল ছাড়া নিম্নলিখিত স্থানগুলি প্ৰত্যেক ভ্ৰমণকারীরই অতি অবশ্য দর্শন করা উচিত। দেলখোসাবাগ, মার্টিনিয়ার, রেসিডেন্সি, গোরস্থান, লৌহসেতু, সেকেন্দরবাগ, সানজফ বা নজফ আশ্রষ্ণ, উইঙ্গফিন্ডপার্ক, মচ্ছিভবন, সাতখণ্ড, আলমবাগ, হজরৎবাগ ইত্যাদি। আমরা এখানে সংক্ষিপ্তভাবে সকল গুলিরই বিবরণ প্ৰদান করিলাম। ফারহাৎ-বক্স। কসর-উল-সুলতান দেলখােসবাগ-সুন্দর কুসুমােস্তান মধ্যস্থিত একটা জীৰ্ণ অট্টালিকা উহার