পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বোম্বাই । সমুদয় অগ্নি সংস্কৃত ও পরিশোধিত করিয়া লয়। ভিন্ন ভিন্ন অগ্নি সংস্থাপিত হয়। অগ্নি-সংস্কারের নিয়ম যে, সর্ব প্রথমে একটা ধাতুময় পাত্রে অগ্নি রক্ষিত হইয়া উহার উপর একটা দণ্ডবিশিষ্ট ছিদ্র ওয়ালা চ্যাপটা ধাতু নিৰ্ম্মিত দণ্ড রাখা হয়। পরে পাত্ৰ স্থত সুগন্ধি চন্দন প্ৰভৃতি কাষ্ঠখণ্ড ক্রমশঃ দগ্ধ হইয়া নবানল উদ্ভূত হয়, এই নবসংস্কার প্রসূত অগ্নিকেই পুতাগ্নি কহে। পাসীরা অগ্নির উপাসক। পারসীগণের মৃত ব্যক্তির সৎকার একটু বিচিত্র রকমের । ইহারা যে স্থানে বাস করে সে স্থানেই ইহাদের অগ্নি মন্দির ও শবিস্তম্ভ দেখিতে পাইবে । মালাবার পর্বতোপরি বোম্বাই নগরীস্থ পাসীগণের শবস্তম্ভ অবস্থিত । পাসী শবন্তম্ভ বা এই সকল স্তম্ভ প্ৰস্তরময় প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত । এখানে টাউয়ার অব 懒 সালে পাঁচটি স্তস্ত প্ৰায় ৮০ ০০ হাজার গজভূমি অধিকার করিয়া অবস্থিত। প্ৰাচীরের অভ্যন্তরে এক একটি অগ্নি মন্দির অবস্থিত। এই সকল শব্বস্তম্ভের উত্তর দিকস্থ স্তম্ভের দ্বারের নিকট একটি খোদিত লিপি আছে, তাহা হইতে জানা যায় যে শব্বস্তম্ভে যাতায়াতের রাস্তাটি প্রথম ব্যারোনেট মৃত জামসেড্রজি জিজিভাইর স্মরণার্থ তৎপুত্র কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। আমরা এখানে খোদিত লিপির অনুলিপি প্ৰদান করিলাম ;- “This Road, leading to the Parsi Towers of silence, was constructed in Memory of the late Jamshidji Jijivai, the first Baronet, by his son, and has been given in charge of the Trustees of the Parsi Panchayat Fund, for the use of Parsi’s only. I 9th llDecember, 1868. A. C. I 238 yezd.” শ্মশান ভূমির জানি না কেমন একটা গাম্ভীৰ্য আছে, কি যেন একটা ভীতি ভাব-কি যেন একটা বিজনতা সে স্থানে গমন করিলে আপনা হইতেই হৃদয় অধিকার করে। পাসী শবস্তম্ভের সমীপবৰ্ত্তী প্ৰাকৃতিক দৃশ্য সুন্দর হইলেও ভীতিব্যঞ্জক-মনোহর হইলেও অবসাদ প্ৰদানে অগ্রসর । অদূরে সমুদ্রের নীল লহরী লীলা, সুন্দর ও মহান-স্মৃষ্টির বিশালত্বের অদ্ভুত নিদর্শন ! তবু ওই যে তোমার সম্মুখে শবস্তম্ভগুলি বিরাজমান, \OS