পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sts-cast BBSBSDL DD DDD BDBBB DBDD BDBDD BD SBDDBBBDBDD BBDBDBBD চলিয়া আসিতেছে। এ সম্বন্ধে কাহারও তর্ক কিংবা যুক্তি অনাবশ্যক। প্ৰত্যেক নদীরই লক্ষ্য সাগর-সঙ্গম, কিন্তু কোন নদীর গমন-পথ শীব্ৰও ংক্ষিপ্ত তাহ নিৰ্ণয় করিয়া স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যেরূপ অসম্ভব, তদ্রুপ ধৰ্ম্ম-সম্পর্কিত মূল সত্য কোথায়, তাহা কে বলিতে পারেন ? পাসী। ধৰ্ম্মমত প্ৰবৰ্ত্তক জরথুস্ত্রের (Zoroastor) গ্রন্থে আছে যে জীবাত্মা তিন দিবস পৰ্য্যন্ত ধরাধাম পরিত্যাগ করে না, চতুর্থ দিবসে উহা ইহলোক হইতে অপসৃত হয়। এই চতুর্থ দিবসে পাসীগণ নিজ নিজ অবস্থানুসারে পরলোকগত ব্যক্তির মঙ্গলোদেশে দান ইত্যাদি পুণ্য কৰ্ম্ম করিয়া থাকে, ইহার নাম “উথল্প” । পাসীদের মধ্যে অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার একটী অতি অদ্ভুত রীতি প্ৰচলিত আছে। উহারা কুকুর দিয়া শবের মুখাবলোকন করাইয়া থাকে, কুকুরের এইরূপ দৃষ্টিকে উহারা অত্যন্ত শুভদৃষ্টি বলিয়া বিবেচনা করে। ইহাদের এইরূপ বিশ্বাস যে কুকুর মৃতব্যক্তির আত্মাকে পথ প্ৰদৰ্শন করিয়া স্বৰ্গপথে লইয়া যায়। প্রাচীনকালে হিন্দু ও পাসী জাতি মুলে যে একজাতি ছিল তাহার কোনও সন্দেহ নাই, কারণ এখনও উভয়জাতির রীতিনীতির মধ্যে কতকটা সোসাদৃশ্য কঙ্কাল-দেহে বিরাজমান। মৃতব্যক্তির আত্মার পারলৌকিক হিতার্থ হিন্দুরা যেরূপ শ্ৰাদ্ধতৰ্পণাদি করিয়া থাকেন, পাসীরাও তদ্রুপ প্ৰেতাত্মার কল্যাণোদেশে বৎসরের শেষ দশ দিবস একটী কক্ষ সুন্দর রূপে পরিস্কৃত করিয়া ফুল ইত্যাদি দ্বারা সুসজ্জিত করেন ও পরলোকগত ব্যক্তির আত্মার কল্যাণের জন্য উপসনাদি করেন,- পাসীরা এই প্ৰথাকে “দিগান’ বা ‘মুক্তাদ” কাহেন। ইহঁরা বলেন যে এই মুক্তাদ সময়ে আত্মা পৃথিবীতে আগমন করিয়া স্বীয় আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবগণকে আশীৰ্বাদ করেন ও তাহারা যে তঁহাকে বিস্মৃত হয় নাই, ইহাতে বিশেষ সন্তুষ্ট হন। কিন্তু হায়! কে জানে কিসে আত্মার । তৃপ্তি ? মরিলে কি হয়, কে বলে ? জীবন ও মরণের সন্ধিস্থলে যে সূক্ষম অথচ চিরঅন্ধকার যবনিকা, বিশ্ব-ব্ৰহ্মাণ্ডের রঙ্গভূমির অধ্যক্ষ ফেলিয়া । রাখিয়াছেন তাহা কি কখন উত্তোলিত হইবে ? সে দেশ কেমন, কে। রীতিনীতি। ૧8૨