পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

シt不5-乏* | প্ৰতিপাদক চিহ্ন বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন । এখানে বীরভদ্রের অষ্টভুজের মধ্যে তিন বাহু দক্ষের নিধনে নিযুক্ত, দুই বাহু প্রসারিত ও অপর তিন ভুজ ভাঙ্গিয়া গিয়াছে। এ কক্ষ হইতে অগ্রসর হইয়া মন্দিরের দ্বারে প্রবেশ ভৈরব ও মহাদেবের পথের সম্মুখে অগ্রসর হইলে আরেকটি কক্ষে পহুছা যায়। যোগীবেশের মূৰ্ত্তি। এখানে মহাদেব ভৈরববেশে সমাসীন ; অষ্টভুজের মধ্যে সাতখানাই ভাঙ্গিয়া গিয়াছে কেবল একখানা অবশিষ্ট । ভৈরবের মস্তকোপরিা গণেশের মূৰ্ত্তি খোদিত। হস্তীমুখো গণেশের গজানন বড়ই সুন্দর ভাবে খোদিত রহিয়াছে। । ভৈরবমূৰ্ত্তির নিকট হইতে কয়েক পা আগু বাড়াইলেই যোগাসনোপবিষ্ট মহাদেবের যোগীমূৰ্ত্তি দৃষ্ট হইবে। বুদ্ধমূৰ্ত্তির সহিত এই মূৰ্ত্তির এতটা সোসাদৃশ্য যে অনেক পৰ্য্যাটকের পূর্বে ইহাকে বুদ্ধদেবের মূৰ্ত্তি বলিয়াই বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন। একটা পদ্মের উপরে মহাদেব যোগাসনে উপবিষ্ট পদ্মের বৃন্ত নিম্নস্থ দুইটি মুরত কর্তৃক ধৃত, ইহা যে বুদ্ধমূৰ্ত্তি নয় তদ্বিষয়ে বিন্দুমাত্ৰও সন্দেহ নাই, কারণ এইরূপ হিন্দুমন্দিরে তদ্রুপ কোনও মূৰ্ত্তি থাকা অসম্ভব,- বৌদ্ধধৰ্ম্ম কোনোদিনই হিন্দুসমাজের পুরোহিতগণ কর্তৃক সাদরে গৃহীত হয় নাই এবং কোন প্রকারেরই সহানুভূতি পায় নাই। এখানে ঘোড়ার যে একটী ভগ্ন মুরত আছে তাহার পৃষ্টে পাশ্চাত্যরীতি অনুযায়ী জিন, লাগাম ইত্যাদি সজ্জা আছে, এর্সকিন (Erskine) সাহেবের মতে এই অশ্বটির গঠন নৈপুণ্য ७ अक्षाख्छादिक সৌন্দৰ্য্য সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ । এলিফেণ্টা গুহার প্রাচীনত্ব নির্ণয় করা সহজ সাধ্য নহে। এখানকার চিত্রাবলীর ভগ্নদশা দুৰ্দান্ত পর্তুগীজদিগের কর্তৃক সাধিত হইয়াছে, মুসলমানদের দ্বারা ইহার কোনও অনিষ্ট হয় নাই। এই মন্দির ও এই মন্দিরস্থ খোদিত মূৰ্ত্তিসমূহ ইহাদের নবীন ৰয়সে যে কিরূপ সুন্দর ছিল তাহার অনুমান করা এখন সুকঠিন। প্ৰাচীনকালে ইহার প্রবেশের সম্মুখে একখানা শিলালিপি ছিল, তাহা পর্তুগীজদিগের কর্তৃক লিসবনে প্রেরিত হয়। কিন্তু উহার কোনও পা t হইয়াছিল বলিয়া শুনা যায় না। ইহা হইতেও এলিফেণ্টার প্রাচীন অনুমান করা অসঙ্গত নহে। পাশ্চাত্য পণ্ডিতবর্গ ইহাকে চারি সন্থ