পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আহম্মদাবাদ । ও সপ্তদশ শতাব্দীতে এই স্থানের অতিশয় সমৃদ্ধি হয়। সে সময়ে ই তার খ্যাতি বিশেষরূপে চতুদিকে ব্যাপ্ত হইয়া পড়ে। ফেরেস্তা-পাঠে জ্ঞাত হওয়া যায় যে, আহম্মদাবাদের উন্নতির সময়ে সে স্থানের প্রায় ৩৬০ টি রাজ্য প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত ছিল। কিন্তু মহারাষ্ট্র-শক্তির छाडूाशिद्र সঙ্গে সঙ্গেই তাহা বিলুপ্ত হইয়া যায়। ১৭৮৩ খৃস্টাব্দে এই নগর মুনিম খাঁ ও দামাজী গাইকোয়াড়ের অধিকারভুক্ত হয়। ইহারা উভয়ে মিলিয়া কিছু দিন ইহার উপস্ব হ্যাদি ভোগ করিবার পরে, ১৭:৩ খৃষ্টাব্দে আহম্মদাবাদ মহারাষ্ট্রীয়দিগের হস্তে পতিত হয়। ১৭৮০ খৃষ্টাব্দে ব্রিটিশ সৈন্যাধ্যক্ষ গর্ডন আহম্মদবাদ আক্ৰমণ করেন ; এবং ১৮৮১ খৃষ্টাব্দে এই নগর ইংরাজের অধিকৃত হইয়াছে । সমস্ত রাত্রি বাসায় নিদ্রার স্নেহময় ক্রোড়ে ক্লান্তি দূর করিয়া পর দিবস প্ৰত্যুষে নগর দেখিতে বাহির হইলাম। আমরা নগরের সর্দপ্রধান রাজপথে উপস্থিত হইলাম। উভয় পাপ্নে অট্টালিকা অপেক্ষা খোলার চাল ওয়ালা গৃহের সংখ্যাই অধিক । রাজপথে অত্যন্ত জনতা । সব লেই ব্যস্তবাগীশ । ক্রমে আমরা মাণিক চৌক নামক নগরের সুপ্ৰসিদ্ধ বাজারে আসিয়া উপনীত হইলাম। এ স্থানের খাটী বৰ্ণনা করিতে হইলে বলিতে হয়,-“পাগড়ীর উপরে পাগড়ী, পাগুড়ি। তদুপরি!” কত লোক আসিতেছে ; যাইতেছে ; কেহ বস্ত্ৰ কিনিতেছে ; কেহ তামাসা দেখিতেছে ; কেহ বেড়াইতেছে ; কেহ বা মিছামিছি দীর দস্তুর করিতেছে। আহম্মদ বাদের-প্রাচীন সমৃদ্ধি বৰ্ত্তমান সময়েও বিশেষরূপে উপলব্ধি করিতে °द्धिा यांश । দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে প্রাচীন জুম্মা মসজিদ, আহম্মদ শা ও তাহার বেগমদিগের সমাধি, দস্তুর খাঁর মসজিদ ( এই মসজিদটি কুতবউদ্দীনের রাজত্বকালে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল ) । মিৰ্জাপুরের রাণীর মসজিদ, নারায়ণ স্বামীর মন্দির, নয় গজ পীর। নয় জন পীরের কবর এই স্থানে আছে বলিয়া ইহার এইরূপ নাম হইয়াছে। কিন্তু এখানকার সমুদয় দৰ্শনযোগ্য সৌধ ইত্যাদির মধ্যে সিপারের মসজিদ ও কবর সর্বাপেক্ষা ইন্দর ও শ্রেষ্ঠ । এই সকল নগরমধ্যবৰ্ত্তী দর্শনীয় স্থানসমূহ ব্যতীত আহম্মদ