পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डांड-ख्वभe । বাদের চতুর্দিকে প্ৰায় ১২ মাইল স্থানের মধ্যে আরও বহুতর দর্শনীয় ভগ্নাবশেষ আছে। তন্মধ্যে হাতি সিংহের মন্দির, দরিয়া খাঁর কবর, শাহিবাগ, মিয়া খাঁ চিস্তির মসজিদ, অচ্যত বিবির মসজিদ, দাদা হরির হ্রদ, ভবানীর হ্রদ, চিন্তামনের জৈন মন্দির, হৌজ-ই-কুতবক, কঙ্কারিয়াতলাও প্ৰভৃতি প্ৰধান । আমরা এই স্থানের প্রধানতম স্পতনীয়দৰ্শন স্থানসমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্ৰদান করিতেছি । অনেকে এখানকার সিদি সৈয়দের ও মহাফিজ খাঁর মসজিদেরও প্রশংসা করিয়া থাকেন । ইহাদের শিল্প নৈপুণ্য ও নিৰ্ম্মাণকৌশল অল্প প্ৰশংসনীয় নহে। বৈদেশিকগণের নানাবিধ অত্যাচার ও উৎপীড়ন, লুণ্ঠন ও আক্রমণ পুনঃপুনঃ সহিয়াও আহম্মদাবাদে যে সমুদয় দর্শনীয় কীৰ্ত্তি বিশ্বধ্বংসী কালের সহিত যুদ্ধ করিয়া অদ্যাপি জীবিত আছে, সে সকল ভারতের চির গৌরবের ও চির আদরের । জুম্মা মসজিদ। — এই সু প্ৰসিদ্ধ মসজিদ আহম্মদাবাদের সুবিখ্যাত তিন দরজার সন্নিহিত । ১৪২৩ খৃষ্টাব্দে ইহা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে । ভারতবর্ষের মসজিদসমূহের মধ্যে সৌন্দর্ঘ্যে ইহা অতুলনীয় বলিলেও অতু্যক্তি হয় না । সুপ্ৰসিদ্ধ প্রত্নতত্ত্ববিৎ ফাগুসন ইহার সম্বন্ধে লিখিয়াছেন যে,— is is The principal was the Jumma Musjic, which though not remarkable for its size, is One of the most beautiful mosques in the East. (History of Indian and Eastern Architecture by James Fergusson, Page 527) ests at $ if 13 ৩৮২ × ২৫৮ ফিট, এবং মূলমসজিদটি দৈর্ঘ্য ২১০ ফিট, এবং প্রস্থে ৯৫ ফিট । ইহার মেজে | ফ্লোর ) মৰ্ম্মর প্রস্তরে গ্রথিত । ছাতের উপরে শ্ৰেণীবদ্ধভাবে পঞ্চদশটি অনিন্দ্যসুন্দর গুম্বজ বিরাজিত থাকায় দূর হইতে এই মসজিদের সৌন্দৰ্য্য সহজেই ভ্ৰমণকারীর মনোযোগ আকর্ষণ করে, এবং নিকটে আসিলে আরও বিশেরীপে মুগ্ধ হইতে হয়। মধ্যস্থ গুম্বজ তিনটি অপরাপর গুম্বজ অপেক্ষ হইতে বৃহত্তর ७ উচ্চতম । २७० िस्छ८ङ মসজিদটি পরিশোভিত । রাণী সিপরিব্রমসজিদ। ইহাকে “আহম্মদাবাদের রত্ন” নামে সর্বসাধারণে অভিহিত করিয়া থাকেন। বস্তুতঃই ইহা সৌন্দৰ্য্যে অতুলনীয়। ১৫১৪ খৃষ্টাব্দে