পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । সুন্দর শ্যামল সতেজ বৃক্ষ-বল্লরী শোভা পাইয়া স্থানটীর সৌন্দৰ্য্য বৃদ্ধি করিতেছে।--নানাবিধ মৰ্ম্মর-প্রস্তরমূৰ্ত্তি সকলও পৰ্য্যাটকের মন-মুগ্ধ করে, এ সকল মৰ্ম্মর-মূৰ্ত্তি ‘কাইসরবাগ’ হইতে আনিয়া রাখা হইয়াছে। এই উদ্যান মধ্যে নানা শ্রেণীর হরিণ সংগৃহীত আছে। মচ্ছিভবন দুর্গ—আসফ উদ্দৌলার প্রাচীন সেতুর বামভাগে মচ্ছিভবন দুর্গের সুবৃহৎ প্রাচীর ও প্রাচীন দুর্গ অবস্থিত, ইহা এখনও উত্তম অবস্থাতেই আছে। এই দুগের প্রাচীরাভ্যন্তরে “লক্ষণটিলা” নামক প্ৰাচীন নগরাংশ দেখিতে পাওয়া যায়। সিপাহনীবিদ্রোহের সময় সুপ্ৰসিদ্ধ সার হেনরি লরেন্স ইহা সৈন্য দ্বারা সুরক্ষিত করিয়া রাখিয়াছিলেন। মচ্ছি।ভবনের নিকট হইতে জুমা-মসজিদের উন্নত-চুড়া বড়ই সুন্দর দেখায়। সাতখণ্ড—ইহা একটী অসম্পূর্ণ অট্টালিকা ৷ দিল্লীর জুমা-মসজিদ অপেক্ষাও বৃহত্তম মসজিদ নিৰ্ম্মাণোদেশে মহম্মদ আদিল সাহি ইহার নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য আরম্ভ করেন, কিন্তু মানুষের ইচ্ছা ও ভগবানের ইচ্ছা কখনও এক হয় না, মহম্মদেরও এই বাসনা পূর্ণ হইল না; তিনি এই অট্টালিকার কাৰ্য্য শেষ হইতে না হইতেই পরলোক গমন করেন। কিম্বদন্তী এই যে এই সৌধ সপ্তাতল উচ্চ হইবার কথা ছিল, কিন্তু চতুস্তল নিৰ্ম্মিত হওয়ার পর তাহার মৃত্যু হওয়াতে ইহার কার্য্য। আর অগ্রসর হয় নাই। আলমবাগ-সহর হইতে প্ৰায় একক্রোশ দূরে কাণপুর যাইবার পথে আলমবাগ নামক রাজোদ্যান অবস্থিত, এস্থানে হেবিলাক সাহেব সমাহিত আছেন। নগর হইতে দূরে ও বিজনে বলিয়া ইহার সৌন্দৰ্য্য গ্ৰাম্য-সৌন্দৰ্য্য হইতে আর একপ্রকারে চিত্তবিনোদক । নানাজাতীয় সুগন্ধি কুসুম-বৃক্ষপরিশোভিত শ্যামল ছায়া-শীতল এই স্থানটা প্ৰকৃতপক্ষেই শান্তিপ্রদ। এখানে নগরের কলকোলাহল শ্রবণে আইসে না,-মৃদুবায়ুবিকম্পিত পত্রাবলীর মৰ্ম্মরতান ; বিহগকণ্ঠের সুমধুর হৃদয়োম্মাদকারী গান, পরিশ্রান্ত দেহেও মনে শান্তির সুবিমলধারা ঢালিয়া দেয়। চতুর্দিকের গ্ৰাম্যসৌন্দৰ্য্যও বিশেষরূপে উপভোগ্য। মোটের উপরে ফলফুলভারাবনত শ্যামল-বৃক্ষরাজিসমাবৃত ৷ এ উদ্যানবাটিকা সাধারণের মনোরঞ্জক। লক্ষ্মেী স্থাপত্য-সৌন্দৰ্য্যে ও প্ৰাকৃতিক সৌন্দর্ঘ্যে পরম রমণীয়। কাইসরবাগ-সম্মুখস্থ তারাওয়ালি কুঠির সম্মুখে যে ¢७