পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বার-আছে উহার ভিতর দিয়া প্রবেশ করিলেই জিলৌখানা নামক প্রাসাদ-দ্বারপ্ৰাঙ্গণ, ঐ প্রাঙ্গণের পর চীনিবাগ পার হইলেই হজরৎবাগ দৃষ্টিপথে পতিত হয়। ইহা তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। লক্ষ্মেীর অধিকাংশ অট্টালিকাই অযোধ্যার নবাবদিগের দ্বারা নিৰ্ম্মিত, ইংরেজাধিকারে আসিবার পরে গোমতীবক্ষে মাত্র দুইটী সেতু নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। মুসলমান রাজত্বের সময়ের দুইটী এবং ইংরেজের সময়ের দুইটী মােট চারিটীি সেতু গোমতীবক্ষে শোভা পাইতেছে। লক্ষ্মেী দুর্গের প্রসিদ্ধ রূমি দরওয়াজা পার হইয়া গোমতীর তটপ্ৰদেশস্থ প্ৰশস্ত রাস্তা দিয়া ইমামবাড়ার বহিঃপ্রাঙ্গণস্থ পশ্চিম দিকে দাড়াইলে, আসফউদ্দৌলার ইমামবাড়া, হুসেনাবাদের ইমামবাড়া প্রভৃতি দৃষ্টিপথে পতিত হয়। জিলৌখানার প্রাসাদদ্বার অতিক্ৰম করিয়া কিছু দক্ষিণাংশে ফিরিয়া একটী পৰ্দাবৃত দ্বার পার হইলে চীনিবাগে পহুছা যায়, ঐ স্থানে নানাপ্ৰকার চীন দেশীয় কাচপাত্ৰাদি সুশোভিত থাকাতেই ইহার নাম চীনিবাগ হইয়াছে। চীনিবাগের কিয়দংরে একটী প্রবেশদ্বার, এই ধারে নানাপ্রকার নগ্ন রমণীমূৰ্ত্তি বিরাজমান। ইহা যে অন্টাদশ শতাব্দীর ইউরোপীয় বিকৃতরুচির পরিচয়, তাহাতে কোনওরূপ সন্দেহ নাই। এই দ্বারের পরেই হজরৎবাগ। আমরা যে সকল সৌধাবলীর পরিচয় দিয়াছি, তাহা ছাড়াও লক্ষ্মৌতে দেখিবার জিনিষ আরও বহু আছে, তন্মধ্যে চাদলক্ষী ভবনের বিষয় উল্লেখ । করা যাইতে পারে। এই অট্টালিকা নবাবের ক্ষৌরকার। আজিম উল্লা খ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল, পরে নবাব ওয়াজিদ আলীর্থ তাহার নিকট হইতে চারিলক্ষ মুদ্রা মূল্যে উহা ক্রয় করিয়াছিলেন, এখানে নবাবের প্রধান বেগম । সাহেব এবং অন্যান্য শ্রেষ্ঠতম নবাব-মহিষীগণ বাস করিতেন। কথিত । আছে সিপাহী-বিদ্রোহের সময় তাহার একজন বেগম সিপাহীদিগের পক্ষাবলম্বন করিয়া এই প্রাসাদে দরবার করিয়াছিলেন। চাঁদলক্ষী প্রাসাদের পার্শ্বস্থ পথের ধারে যেখানে মৰ্ম্মর প্রস্তরে বাঁধান একটী বৃক্ষ দেখিতে পাওয়া যায়, মেলার দিবস নবাব ফকিরের বেশে সেখানে অবস্থান করিতেন। . লক্ষ্মেী যে কেবল স্থাপত্য-শিল্পে এবং প্রাচীন গৌরবেই গৌরবান্বিত, তাহা নহে; শিল্পবাণিজ্যেও ভারতবর্ষের অন্যান্য বহুনগরী হইতে ইহা শ্ৰেষ্ঠ। ዓ« السb 枣研引°可怜