পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । ছিল, খাড়বন্দরের ব্যবসার হ্রাসের সহিত ইহার ব্যবসায় ও বাণিজ্যের আমদানি রপ্তানি বৃদ্ধি পাইতে থাকে এবং চারিদিকে ইহার বাণিজ্য খ্যাতি বিস্তৃত হইয়া পড়ে, ক্রমশঃ এখানে একটি দুর্গ নিৰ্ম্মিত হয় এবং মস্কট নগর হইতে তোপ আনিয়া উহা সুরক্ষিত করা হয়—এবং অল্প দিনের মধ্যেই বিশেষ সমৃদ্ধিশালী হয়। “কলাচি। কুন” হইতেই অপভ্ৰংশ হইয়া পরিশেষে এই বন্দরের নাম করাচি হইয়াছে বলিয়াই এদেশের জনসাধারণের দৃঢ়তর বিশ্বাস । বৰ্ত্তমান সময়ে ইহাই সিন্ধু প্রদেশের প্রধান নগর। বোম্বাই হইতে ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান ষ্টীমার সপ্তাহে দুইবার করিয়া এখানে আইসে। ১৮৪২ খ্ৰীষ্টাব্দে সিন্ধু প্রদেশের আমীর এই নগর ইংরেজ গভৰ্মেণ্টকে প্ৰদান করেন। করাচি বন্দরে বহু বড় বড় ষ্টীমার যাতায়াত করিয়া থাকে। করাচি উপসাগরের সৌন্দৰ্য্য প্রত্যেক ভ্ৰমণকারীকেই বিশেষরূপে মুগ্ধ করে, এই উপসাগরের এক পাশ্বে মানোরা অন্তরীপ অবস্থিত । মানোর অন্তরীপও ক্লিফটন নামক স্বাস্থ্যনিবাসের মধ্যে উপসাগরের বিস্তৃতি প্ৰায় ৩৷৷ মাইল হইবে । উপসাগরের প্রবেশ মুখে “ঝিনুক পাহাড়” এবং “কিয়ামারি” নামক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পার্বত্য দ্বীপ বিরাজিত আছে—মানোরা অন্তরীপে একটী আলোক স্তম্ভ এবং ক্ষুদ্র দুৰ্গও দেখিলাম । করাচিতে দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে নেপিয়ার ব্যারাক, গভমেণ্ট ট্রেজারি, টিনিটি চাৰ্চ, মিলিটারি সেনিটেরিয়াম, সেণ্ট এণ্ডুস স্কচ চাৰ্চ, ফ্রেরি হল আব্দুলজি দিনসার ডিসপেন্সারি ও আলোকস্তস্ত ইত্যাদিই প্ৰধান, এতদ্ব্যতীত তেমন উল্লেখ যোগ্য ও বিস্তারিত বর্ণনার উপযুক্ত কিছুই নাই। করাচি জেলার পণ্যদ্রব্য সমূহের মধ্যে তুলা, গম ও পশুলোম প্ৰধান । করাচির পশুবাটিকা Zoological garden. কলিকাতার পরেই বিশেষ বিখ্যাত, ইহা ভারতে দ্বিতীয় স্থানীয়। ফ্রেরি হল নামক সুবৃহৎ অট্টালিকাটিও প্ৰত্যেক ভ্ৰমণকারীর দর্শন করা উচিত । করাচী হইতে বাষ্পীয় পোতে বোম্বে প্রত্যাগমন পূর্বক (ভায়া জব্বলপুর) ডাকগাড়ীতে স্বদেশাভিমুখে রওয়ান হইলাম । dydis ജ് തുഞ്ഞു. ( woe