পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । গেল, জব্বলপুরের শ্বেত মৰ্ম্মর শৈল ও নিৰ্ম্মদ প্রপাতের দৃশ্য দর্শন করিবার জন্যই আমাদের এখানে অবতরণ করা, কাজেই ঐ দুইটি দৃশ্য দেখিবার জন্য একটা ব্যাকুলত হৃদয়ে পূর্ব হইতেই জাগরিত হইয়াছিল, বহু পৰ্য্যটনে বন্ধুবান্ধবের নিকট শুনিয়াছিলাম যে জব্বলপুরের এ দৃশ্য দুটির মত দৃশ্য আর ভারতে নাই, কাজেই ঔৎসুক্যের পরিমাণটা যে একটু বেশী হইয়াছিল, তাহার উল্লেখ করাই বাহুল্য। বাস্তবিকই জবলপুর স্বাস্থ্যে ও সৌন্দৰ্য্যে মধ্যভারতের মধ্যে একটি অতুলনীয় নগর । স্বাভাবিক সৌন্দর্য্যে ও নাগরিক মাধুৰ্য্যে ইহা অত্যন্ত মনোহর। জব্বলপুর একটা মিলিটারি স্টেশন ও বটে, কারণ কিয়দংশ ব্রিটীশ সৈন্য সর্বদাই এ স্থানে অবস্থান করিয়া থাকে। পূর্দে এ স্থানে ঠগীদিগের প্রধান আডিডা ছিল, এই দুৰ্দান্ত নরহত্যাকারিগণ পূর্লে পথিকের মুখে রুমাল পুরিয়া দিয়া শ্বাসরোধ করতঃ নরহত্যা করিত। ইহাদের সম্বন্ধে বহু আশ্চৰ্য্য আশ্চৰ্য্য গল্প শুনিতে পাওয়া যায় । কৰ্ণেল সিম্যান সাহেবের অসীম চেষ্টা ও যত্নে ইহাদের অনেক দল ধূত হয় ও অত্যাচার দমিত হয় । ঠগীগণ নরহত্যাকে কোনওরূপ দুস্কাৰ্য্য মনে করিত না, তাহারা ইহাকে ধৰ্ম্মের কার্য্য বলিয়া মনে করিত। সিম্যান সাহেব যে গ্রামে ঠগীদিগকে গ্ৰেপ্তার করিয়া আবদ্ধ করিয়াছিলেন উহা এক্ষণে ঠগীগ্রাম নামে পরিচিত, ঐ গ্রাম দেখিতে হইলে পাশ সংগ্রহের প্ৰয়োজন । ঠগীদের জন্য জবলপুরে একটা শিল্পবিদ্যালয় (Industrial School) স্থাপিত আছে, এই বিদ্যালয়ে ঠগ ও ডাকাত ব্যবসায়ী দিগকে এবং তাহাদের পরিবারবর্গকে তাম্ব ও কাপে টি ইত্যাদি বুনন করিতে শিক্ষা দেওয়া হইয়া থাকে । ইহাতে তাহারা সদুপায়ে জীবন-যাত্ৰা-নির্বাহ করিতে সক্ষম হয়। জব্বলপুরের তাম্মু ও কাপেট ভারতবর্ষে বিশেষ বিখ্যাত । ১৮৩৫ খ্ৰীঃ অঃ প্ৰথম যখন এই বিদ্যালয় স্থাপিত হয়, তখন ইহাতে ঠগী ছাত্ৰ সংখ্যা । ২৫০০ হইয়াছিল এখন তাহদের অতি অল্প সংখ্যকই জীবিত আছে । জব্বলপুর সহরের মধ্য দিয়া রেলওয়ে হওয়ায় ইহার ব্যাণিজ্য সমৃদ্ধি দিন দিনই বুদ্ধি পাইতেছে। রেলওয়ে ব্যতীত রাস্তা দিয়াও সিওনি, দামু, মওলা প্ৰভৃতি স্থানে বাণিজ্য সম্পন্ন হইয়া থাকে। বিলাতী কাপড়, তণ্ডুল, গোধুম, চিনি, লবণ, দেশী কাপড়, সর্ষপাদি। মসলা, ঘৃত, তৈল, bÝe ቖ.. J