পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জবলপুর। লাক্ষা ও কার্পােস প্রভৃতি দ্রব্যাদি রেলওয়ের সহায়তায় আমদানী হয়। নগরের মধ্যস্থানে চতুর্দিকে বহু মন্দির বেষ্টিত একটা বৃহৎ পুস্করিণী আছে। উমতি নামক একটি ছোট সরিৎ নগরের ও কাছারীর মধ্য দিয়া প্রবাহিত হওয়ায় নগরের প্রাকৃতিক শোভা বহু পরিমাণে বৃদ্ধি পাইয়াছে। সদর রাস্ত হইতে প্ৰায় অদ্ধ মাইল দূরে গ্ৰে'নাইট পাহাড়ের উপর নিৰ্ম্মিত গণ্ড ( গোন্দ) রাজাদিগের প্রাচীন দুর্গ অবস্থিত। পরদিন প্ৰত্যুষে জবলপুর হইতে মৰ্ম্মর শৈল দেখিতে রওয়ান হইলাম । সহর হইতে মৰ্ম্মর শৈল দেখিতে যাইতে চাইলে ১২, ১৩ মাইল দূরবর্তী “ভেড়াঘাট” নামক স্থান পৰ্য্যন্ত শকটারোহণে যাইতে হয়। এ পথের সৌন্দৰ্য্যও উপভোগ্য বটে, দুই ধারে গিরি শ্রেণী, নিৰ্জন উপত্যক, শ্যামল বনশ্রেণী, পাখীদিগের কলতান সদয়ে শান্তি-সুধা ঢালিয়া দিতেছিল। আমরা শকটারোহণে নম্মাদার তীরবর্তী “ভেড়াঘাট” নামক স্থানে উপস্থিত হইলাম। এখান হইতে পদব্ৰজেই শৈলোপরি আরোহণ করিতে পারা যায়, কিন্তু তাহাতে আশঙ্কা ও বিস্তর আছে । মৰ্ম্মর শৈলের সৌন্দৰ্য্য উত্তমরূপে সদায়ে অনুভব করিতে হইলে ভেড়াঘাট হইতে নৌকা করিয়া নৰ্ম্মাদার প্রপাত দেখিতে যাওয়াই যুক্তিযুক্ত। জব্বলপুর হইতে ভেড়াঘাট সিগৃরাম গাড়ীতে আসিলে ৫।৬ টাকা ও টাঙা করিয়া আসিলে ৩৪ টাকা এবং একা করিয়া আসিলে টাকা দুই বায় লাগে। ভেড়াঘাট হইতে প্ৰপাত দেখিতে যাইতে নৌকার ভাড়া দুই টাকার বেশী দিতে হয় না। সরকার হইতেই দর্শকদের জন্য বোটের বন্দোবস্ত করা আছে। নৌকারোহণে যাইবার সময় নৰ্ম্মাদার উভয় তীরবর্তী স্বচ্ছদেহ মৰ্ম্মর শৈলের অনিন্দ্য সৌন্দৰ্য্য হৃদয় মুগ্ধ করিয়া ফেলে। নৰ্ম্মাদার স্বচ্ছ সলিলপ্রবাহের প্রতিবিম্ব উভয় তাঁটবন্তী পৰ্বত গাত্রে প্রতিবিম্বিত হইয়া আরও দুইটী প্রবাহের মত দেখা যায়, বহুক্ষণ একদৃষ্টে সেদিকে চাহিয়া থাকিলে সেই প্রতিবিম্বিত স্রোতধারা দুইটাকেও নিৰ্ম্মাদার প্রকৃত স্রোতের অন্তভুক্ত বলিয়া মনে হয়। কি সুন্দর দৃশ্য ! উদ্ধে নীল—অতি সুন্দর নীল অনন্ত বিস্তৃত আকাশ, নিম্নে-স্বচ্ছাশীতল রজত সলিল নৰ্ম্মদ তরঙ্গিণী মৰ্ম্মর শৈলের মধ্য দিয়া প্ৰবাহিতা। স্থানে স্থানে উভয় তীরবর্তী গিরি মিলিয়া br e.VS)