পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@1不5-巴叫q山 গিয়াছে। দূরস্থ নিৰ্ম্মাদার বিরাট প্রপাতের অবিরাম ঝাম ঝাম ঝর ঝর রব কৰ্ণে প্ৰতিধ্বনিত হইতেছে। তন্মধ্যে দাড়ের ঝাপ ঝাপ্‌ শব্দই যেন সেই সামঞ্জস্যের মধ্যে এক বৈসাদৃশ্য আনিয়া ফেলিতে ছিল। নৌকা ধীর গমনে চলিতেছিল, নৰ্ম্মাদার রজত-শুভ্ৰ সলিল রাশি সূৰ্য্যের দীপ্তোজ্বল কিরণ রাশিতে বিক মিক করিয়া জ্বলিতেছিল । ক্রমশঃ আমরা প্ৰপাতের নিকটে আসিয়া পহুছিলাম। যেখানে থাকিলে প্রপাতের দৃশ্য সম্যক দেখা যায়, অথচ কোন আশঙ্কা থাকে না, এমন স্থানে নৌকা রাখিয়া আমরা সেই মহান দৃশ্য দেখিতে লাগিলাম, প্ৰপাতের দৃশ্য অতুলনীয়, ভারতের আর কোথাও এইরূপ অনির্বচনীয় মহান দৃশ্য দেখি নাই। শুনিয়াছি নায়েগ্রার জলপ্রপাত পৃথিবীতে অদ্বিতীয়, —দুৰ্ভাগ্যক্রমে তাহা দেখিবার সৌভাগ্য আমাদের হয় নাই এ জীবনে হইবেও না । কিন্তু নৰ্ম্মাদার প্রপাত দর্শনেই ৷ হৃদয়ে সেই বিরাট দৃশ্যের চিত্র অনুভব করিতে পারিলাম। প্রপাতের উদ্ধাদিকে অল্প দূরে নৰ্ম্মাদার জল স্রোত স্তুপে স্তুপে বাধা পাইতে পাইতে আসিতে আসিতে হঠাৎ একেবারে দিগন্ত প্ৰতিধ্বনিত করিয়া ভীমনাদে প্ৰায় ত্ৰিশ হস্ত নিম্নে পতিত হইয়াছে। এ দৃশ্য দেখিবার,-ভাষায় তাহার বিরাট, মহান, ভয়ঙ্কর অথচ শোভাপূর্ণ ভাৰ কিছুতেই ফুটাইয়া তোলা যায় না। যে স্থানে বারিরাশি সবেগে পতিত হইতেছে সেখান হইতে স্তম্ভাকারে বাষ্পরাশি উৰ্দ্ধে উত্থিত হইতেছে । চারিদিকের বিজনতা দূর করিয়া ঋম কাম করে করু এই গগনভেদী বিরাট শব্দ সত্য সত্যই হৃদয়ে এক অনির্বচনীয় ভাবের উদয় করিয়া দিতেছিল। জগদীশ্বরের অপূর্ব সৃষ্টি জড় জগতের অনন্ত শক্তিময় চেতনা এস্থানে প্ৰত্যক্ষ অনুভূত হয়। কবির ভাষায় বলিতে গেলে বলিতে-হয় h, “থর থর কঁাপিছে ভূধর, শিলা রাশি রাশি পড়িছে খসে, , ফুলিয়া ফুলিয়া ফেনিল সলিল * গরজি উঠিছে দারুণ রোষে।” । ". বর্ষার সময় এ প্রপাত দেখিতে পাওয়া বায় না, কারণ জলের বৃদ্ধির জন্য। প্ৰপাতের নিকটবর্তী স্থান বহুদূর পর্যন্ত জলে প্লাবিত হইয়া পড়ে। এ