পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এখন আমরা পাঠকবর্গের নিকট হরিদ্বার সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় বিবৃত ৷ দিবারের নানা করিব। স্বাস্থ্য সম্বন্ধে হরিদ্বার অত্যুত্তম স্থান। এখানকার । কথা। গঙ্গার জল শীতল সুস্বাদু ও জীর্ণকারী-যতই আহার করন । কেন, জলের গুণে দেখিতে দেখিতে তাহা জীৰ্ণ হইয়া যাইবে। কয়েক বৎসর | হইল কনখল ও হরিদ্বার লইয়া মিউনিসিপালাটি গঠিত হইয়াছে, কিন্তু তাহা । হইলে কি হইবে উহা দ্বারা যে এস্থানের বিশেষ উন্নতি হইয়াছে তাহা মনে । হয় না, কারণ রাস্তাঘাট পূর্বাপেক্ষা পরিচ্ছন্ন ও মল-মূত্রাদির দুৰ্গন্ধাদি বৰ্জিত হইলেও তাহা আশানুরূপ নহে,--–এরূপ তীর্থস্থলে যেখানে প্রতিবৎসর লক্ষ লক্ষ যাত্রী-সমাগম হয় তাহার বন্দোবস্ত যে খুব ভাল হওয়া দরকার তাহা বলাই বাহুল্য। বর্ষার সময় হরিদ্বারের স্বাস্থ্য খারাপ হয়, তখন জ্বরের প্রকোপে বড়ই বিব্রত করিয়া তোলে। পূর্বে মেলার সময় এস্থানে ওলাউঠার অত্যন্ত উপদ্রব হইত, কিন্তু গবৰ্ণমেণ্টের কৃপাকটাক্ষপাতে তাহা এখন বহুপরিমাণে হ্রাস হইয়াছে। হরিদ্বারের নাম সম্বন্ধে নানাপ্রকার গোলযোগ । পরিলক্ষিত হয়। হরিদ্বার নাম নিতান্ত আধুনিক বলিয়া সকলেই বলেন। কোনও কোনও প্ৰসিদ্ধ মুসলমান লেখকদের লেখাতে এস্থান কেবল ‘গঙ্গাদ্বার নামে উক্ত হইয়াছে। প্রাচীন পুরাণাদি গ্রন্থে ও মহাভারত প্রভৃতি প্ৰাচীন পুস্তকে কনখল, গঙ্গাদ্ধার এবং কপিলস্থান ব্যতীত অন্য কোনও নাম छूछे হয় না, অতএব ‘হরিদ্বার’ নাম বেশীদিনের প্রাচীন নয়—-এরূপ অনুমান করা প্রত্নতত্ত্ববিদগণের পক্ষে অসঙ্গত কিংবা অযৌক্তিক হয় নাই। তীৰ্থ-যাত্রিগণ প্ৰায় সকলেই এস্থানে ত্রিরাত্রি বাস করিয়া থাকেন। কারণ শাস্ত্ৰে লিখিত আছে যে এই পবিত্র তীর্থে যে ব্যক্তি ত্রিরাত্রি বাস করিয়া পুণ্য সলিল জাহ্নবীজলে অবগাহন করে, তাহার সর্বপ্রকার পাপ তাপ দূরীভূত হয় এবং সে ব্যক্তি অশ্বমেধ যজ্ঞের ফললাভ করতঃ পরলোকে গমন করিয়া অক্ষয় স্বাগলাভ করে। মহাভারতকার লিখিয়াছেন— । “ততঃ কনখলে স্নাত্বা ত্রিরাত্রোপোষিতোেনরঃ। ] অশ্বমেধমবাপ্নোতি স্বৰ্গলোকঞ্চ বিন্দতি ॥” । এহেন পবিত্র তীর্থে আগমন করিবার জন্য যে ধৰ্ম্ম কাজী হিন্দু ; · ኅ»