পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਣਸ অস্বালা হইতেই আমাদের পঞ্জাবভ্ৰমণ আরম্ভ হইল। অম্বালা পাঞ্জাব প্রদেশের একটী বিখ্যাত স্থান। ইহার নামোৎপত্তি সম্বন্ধে দুইরূপ মত শুনিতে পাওয়া যায়। কাহারও কাহারও মতে চতুৰ্দশ শতাব্দীতে অম্বা নামক জনৈক রাজপুত্র কর্তৃক এই নগর নিৰ্ম্মিত হইয়াছে বলিয়া ইহার নাম অম্বালা হইয়াছে। দ্বিতীয় মত এই যে, এস্থানে ‘অস্বা’ নামী একটা দেবী প্ৰতিষ্ঠিত আছেন ; সেই দেবীর নাম হইতেই ইহার নাম অম্বালা হয়। পাঠকগণের যাহা অভিরুচি তাহাই সত্য বলিয়া গ্ৰহণ করিতে পারেন । 爱 翠 অম্বালা পূর্বে পাতিয়ালার মহারাজার অধিকৃত ছিল, তিনি প্রয়ােজনানুরোধে ইহা ইংরেজ গবৰ্ণমেণ্টকে দান করিয়াছেন। এই নগর দুইভাগে বিভক্ত (১) কেণ্টনমেণ্ট (২) সিটি। পশ্চিমের প্রায় প্রত্যেক নগরই এইরূপ দুইভাগে বিভক্ত। সৈনিকাবাস বা ছাউনীই কেণ্টনমেণ্ট নামে অভিহিত, আর রাজকীয় বিচার-বিভাগ, আফিস আদালতাদি যেস্থানে অবস্থিত, তাহাই সিটি বা নগরাংশ নামে পরিচিত, আমাদের নিকট সহর অপেক্ষা ছাউনী-বিভাগই ভাল লাগিয়াছিল, উহা নগরাপেক্ষা প্রশস্ত ও পরিষ্কৃত। ছাউনী-বিভাগেও বাজার আছে এবং আবশ্যকীয় সমুদয় দ্রব্য-সামগ্রীই সেখান হইতে সংগ্ৰহ করা যায় । হিন্দুর অন্যতম প্ৰধান তীৰ্থ কুরুক্ষেত্রে এবং ইংরেজের প্ৰিয় শৈল বড়লাটের গ্রীষ্মাবাসেও এখান হইতে যাওয়া যায়। ভারত-ইতিহাসে অম্বালা একটা প্ৰসিদ্ধ স্থান। কুরুক্ষেত্র অম্বালার ২৯ মাইল দক্ষিণে এবং শিমলা ৯৪ মাইল উত্তরে অবস্থিত। আমরা যখন অস্বালা গিয়াছিলাম, তখন কুরুক্ষেত্র কিম্বা শিমলা যাওয়ার পথে কালকা পৰ্যন্ত রেলওয়ে হয় নাই, এখন আর কুরুক্ষেত্ৰ কিম্বা শিমলা যাইতে কোনও কষ্ট নাই। অম্বালার একদিকে পুণ্য-সলিলা বৈদিক নদী সরস্বতী এবং অপরদিকে দৃশদ্বতী প্রবাহিতা। এখান হইতেই হিন্দুধৰ্ম্মের প্রথম স্ফারণ হয়,