পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাভিক্সালা-ব্ৰাজধানী। . নাভা। । "ভমপরিচিত ব্যক্তির পক্ষে পাতিয়ালা-রাজধানীতে বাসস্থান ঠিক করা। বিশেষ সহজ নহে। অতএব যাওয়ার পূর্বেই সেখানে থাকিবার বন্দােলন্ত । ঠিক করা উচিত। আমরা এ সকল বিশৃঙ্খলতার কথা পূর্বেই জ্ঞাত হইয়া । দুই খানা অনুরোধপত্রসহ রাজধানীতে উপনীত হইয়াছিলাম ; একখানি মহারাজার সেক্রেটারী শ্ৰীযুক্ত আবদুল গফুর সাহেবের নিকট এবং অপর খান সেখানকার কলেজের জনৈক অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত মন্মথনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমীপে, শেষোক্ত বাঙ্গালী ভদ্রমহােদয়ের কৃপায় আমরা বাসস্থানের নিমিত্তে একখানা অতি সুন্দর বাটী প্ৰাপ্ত হইয়াছিলাম। ভ্ৰমণকারিগণের পক্ষে এইরূপ সুবৃহৎ ও সুন্দর সৌধ পাওয়া বিশেষ সৌভাগ্যের বিষয় বলিতে হইবে। মন্মথবাবু গ্ৰীষ্টধৰ্ম্মাবলম্বী, কাজেই তাঁহার আন্তরিক। আগ্রহ ও অনুরোধসত্ত্বেও তাঁহার বাটীতে থাকিতে না পারায় বিশেষ ক্লেশানুভব করিয়াছিলাম। . . . .. '; আহার ও বিশ্রামাদির পরে-নগর দেখিতে বাহির হইলাম ; প্রথমতঃ । রাজভবন দেখিতে যাওয়া গেল। রাজভবন একটা সুরক্ষিত দুর্গ বিশেষ। দ্বারপালগণ উলঙ্গ কৃপাণহস্তে দিবারাত্রি রাজভবনের প্রহরাকাৰ্য্যে নিয়োজিত আছে ; মহারাজার বিশেষ অনুমতি ব্যতিরেকে রাজভবনে কাহারো। প্ৰবেশাধিকার নাই। রাজভবনমধ্যেই রাজকীয় দপ্তরখানা এবং বিবিধ त्रूलाबांन পদার্থ প্রভৃতি সংগৃহীত আছে। এই সৌধমালার চতুর্দিকেই বাজার । পুস্থিালার লোকসংখ্যা খুব বেশী। হাটে ঘাটে মাঠে যেখানে। যাইবে সেখানেই লোকারণ্য, রাজধানীর সর্বস্থান সর্বদাই জন-কোলাহলমুখরিত। আশ্চৰ্য্যর বিষয় এই যে অসংখ্য ऊन-भ७ौद्ध भक्षा शि। ब्रांजकौश অশ্বারোহিগণ অনায়াসে যাতায়াত করিতেছে। এ নগরের পথসমূহ অধিকাংশই ভূপ্রশস্ত এবং ধূলিময়-পার্থের ড়েণ হইতে দুৰ্গন্ধ আসিয়