পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

丐否列委下丐1 অ্যামরা পাতিয়াল রাজধানী হইতে কয়েকটি ষ্টেসন এবং শতদ্রু (Sutleg) নদীর প্রসিদ্ধ বৃহৎ সেতু অতিক্রম করতঃ কিছু পরেই জলন্ধর ষ্টেসনে উপনীত হইলাম। জলন্ধর নগরই এই জেলার প্রধান সহর । ‘পদ্মপুরাণ’ পাঠে অবগত হওয়া যায় যে জলেন্দ্ৰ নামক জনৈক দৈত্য কর্তৃক এই নগর স্থাপিত হইয়াছে। আমরা এখানে পহুছিয়াই শুনিতে পাইলাম যে জলন্ধরে কোনও বাঙ্গালী নাই সে নিমিত্ত কোনও বঙ্গদেশবাসী । পৰ্যটকের পক্ষে এখানে থাকার বিশেষ অসুবিধা । আমরা কিন্তু এইরূপ জনরাবেও সাহসহীন না হইয়া একখানা অশ্বশকটে নবপ্রতিষ্ঠিত কালীবাড়ী অভিমুখে গমন করিলাম। সেখানে পৌছিতে না পৌছিতেই একটী বাঙ্গালী ভদ্রলোক আমাদিগকে দেখিতে পাইয়া সসন্ত্রমে তাহার বাসস্থানে লইয়া গেলেন। ইহার নাম শ্ৰীযুক্ত গণেশচন্দ্ৰ গাঙ্গুলি, নিবাস কলিকাতার নিকটবৰ্ত্তী সৈন্দপুরের পাশে। ইনি গোরাহাসপাতালের জিনিষরক্ষক। বিক্রমপুরের প্ৰসিদ্ধ বেঘের গাঙ্গুলি বলিয়া বংশমৰ্য্যাদায় ইহারা সুপরিচিত। অল্প সময়ের মধ্যেই এস্থানে আরও দুইটী বিশিষ্ট বাঙ্গালী ভদ্রমহোদয়ের সহিত আমাদের আলাপ পরিচয়াদি হইল । আমরা প্ৰথমে জলন্ধর ষ্টেসনে পহুছিয়া যেরূপ নিরাশা-সাগরে ভাসিয়াছিলাম, তদ্রুপ পরমদয়াল জগদীশ্বরের ইচ্ছায় এখন আমাদের সর্ববিষয়েই সুবন্দোবস্ত হইল। জলন্ধরের প্রায় ১৬ মাইল অন্তরে প্রসিদ্ধ কপূরতলার রাজধানী। জলন্ধরের নগরাংশ অপেক্ষা ছাউনীর (সৈন্যবাস) বিভাগ পরিকৃত ও दिप्लुङ । রাস্তাগুলি সোজা, বাজারটা ক্ষুদ্র হইলেও অতি পরিপাটী । বাঙ্গালীর আহাৰ্য্য মৎস্য, মাংস এবং দুগ্ধ এ স্থানে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এখানে একটা আশ্চৰ্য্য নিয়ম প্রচলিত দেখিলাম, গো-স্বামিীগণ প্রত্যহ দুই বেলা বৎসও গাভীসহ বাজারে উপস্থিত থাকে, খাটি দুগ্ধের