পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অট্টালিকা দেখিলাম, এস্থানে শিখগুরুদের বহু অন্ত রক্ষিত । আছে। এখানে বহু গায়ক ও বাস্থ্যকর বসিয়া থাকে। ইহারা প্রত্যহ চারিটীি স্তম্ভ আছে, উহার উপর আরোহণ করিলে নগরের সৌন্দৰ্য্য দৃষ্ট হয়। দরবার-সাহেবে প্রতিদিন অপরান্ত্রে লোকে লোকারণ্য হইয়া থাকে। সে সময়ে বহু যাত্রীর সমাগম হয়, পুরুষ অপেক্ষা স্ত্রীলোকের সংখ্যাই অধিক-পর্বদিন হইলে ত আর কথাই নাই। আমরা যে দিবস মন্দির দর্শন করি, সে দিন । একাদশী তিথি ছিল, কাজেই লোকারণ্য ভেদ করিয়াই আমাদিগকে মন্দিরে প্ৰবেশ করিতে হইয়াছিল। সে এক আশ্চৰ্য্য দৃশ্য ! দেখিলাম, কোথাও নানকের আদিগ্রন্থ বা ‘গ্রন্থসাহেব’ পঠিত হইতেছে, কোথাও শ্ৰীমদ্ভাগবত, কোথাও রামায়ণ, কোথাও মহাভারত পাঠ হইতেছে, কোথাও বা সুমধুর রবে বাদ্য বাজিতেছে ও সুস্বরে ধৰ্ম্মসঙ্গীত গীত হইতেছে। আমরা এই ধৰ্ম্মনিকেতনে ধৰ্ম্মালোচনা দেখিয়া যারপরনাই গ্ৰীতিলাভ করিলাম। যদিও ইহা হিন্দুদিগের তীর্থ নহে, তথাপি আমরা ভক্তিসহকারে এস্থানে প্ৰবেশ করিয়া পাণ্ডাদিগকে কিঞ্চিৎ দক্ষিণা দিলাম। চঞ্চল সিংহ নামক একজন পাণ্ড আমাদের সহিত বিশেষ সদ্ব্যবহার করিয়াছিলেন এবং প্রত্যেক বিষয় আমাদিগকে বিশদভাবে বুঝাইয়া দিয়াছিলেন । বস্তুতঃ এরূপ মিষ্টভাষী পাণ্ড৷ তীৰ্থস্থলে পাওয়া দুর্লভ। তঁহার সদ্ব্যবহারে তীহাকে একখানা প্ৰশংসাপত্ৰ না লিখিয়া দিয়া পারিলাম না। উক্ত ব্যক্তির হস্তে আমাদের ময়মনসিংহের মহারাজা স্বৰ্গীয় সূৰ্য্যকান্ত আচাৰ্য্য বাহাদুরেরও একখানা প্ৰশংসাপত্ৰ দেখিতে অৰ্চনা করিয়া থাকেন; গ্ৰন্থসাহেব প্ৰথম শিখগুরু নানকের বিরচিত। শিখদের নানক, অঙ্গদ, অমরদাস, রামদাস, অৰ্জ্জুন, হরগোবিন্দ, হররায়, হয়কৃষ্ণ, তেগ । বাহাদুর এবং গোবিন্দসিংহ সর্বসমেত এই দশজন গুরু। : মন্দির। মধ্যস্থ গ্রন্থসাহেবকে ভক্তিভরে প্রণাম করিলে, পুরোহিতগণ তঁহাদের হা এক একটা আশীৰ্বাদী পুষ্প প্ৰদান कानन । S BDBDBD DBDBSDD DBB BD DBDB DBD BD S