পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: এখানকার লাইব্রেরীর পুস্তক ও সংবাদ পত্ৰাদি পাঠে সকলেরই সমান। অধিকার আছে। আমরাও অবসর মত অনেক সংবাদপত্রাদি পাঠ করিয়া । বিশেষ শ্ৰীতিলাভ করিয়াছি। কলিকাতা হইতে প্ৰকাশিত শ্ৰীযুক্ত মতি বাবুর সম্পাদিত ‘অমৃতবাজার পত্রিকার’ এ অঞ্চলে বিশেষ গৌরব। “হিন্দীবঙ্গবাসী ও ক্রমশঃই এদেশে সুপ্রচারিত হইতেছে। একদিন শাল ও গালিচার কারখানা দেখিতে গমন করিলাম,---কারখানায় বিস্তর লোক খাটিতেছে দেখিলাম। অমৃতসরের শাল, ধূসা, গরবী ও আলোয়ান প্ৰসিদ্ধ। আমাদের বঙ্গদেশের মহাজনেরা অনেক সময়ে এখানকার জিনিষকেই ‘কাশ্মীরী বলিয়া বিক্রয় করিয়া থাকে। কয়েকটী বাঙ্গালী ভদ্রমহােদয়ের সহিত আমরা শাল ক্ৰয় করিতে গিয়াছিলাম ; দুঃখের বিষয় বলিতে কি, আজকাল এস্থানেও প্ৰবঞ্চনা আরম্ভ হইয়াছে। বিক্রেতারা অনেক সময়ে সূতা ও পশম-মিশ্ৰিত কাপড়ও বিশুদ্ধ পশমী বস্ত্ৰ বলিয়া বিক্রয় করিয়া থাকে । আবার বিলাতী আলোয়ানের গায়ে হাসিয়া দিয়াও অমৃতসরের জিনিষরূপে চালাইতেছে। এখানে শাল বুনিবার জন্য প্রায় ৫০০০ হাজার ভঁাত আছে। এই সকল তঁাজীদের অধিকাংশই কাশ্মীরী। কাশ্মীরের দরিদ্র লোকেরাই এখানে আসিয়া মহাজনাদিগের নিকট দাদন লইয়া তাতে শাল প্ৰস্তুত করিয়া থাকে। কাশ্মীরের পশম অমৃতসরের পশম অপেক্ষা বহু শ্রেষ্ঠ। কাশ্মীরে পশমে কোনরূপ ভেঁজাল দেওয়ার প্রথা নাই ; কিন্তু পূর্বেই বলিয়াছি যে, এ স্থানে ভেঁজাল দেওয়ার প্রথা খুব বেশী। তিব্বত । প্রভৃতি পার্বত্য প্রদেশের ছাগলের লোমেও এখানে শাল প্ৰস্তুত হয়। এখানে উত্তম রেশম ও উৎপন্ন হইয়া থাকে। গড়ে প্ৰতিৰৎসর এ নগরে প্ৰায় চারিকোটি টাকার দ্রব্যের আমদানী ও রপ্তানী হয়। । অমৃতসর সহরের সাত ক্রোশ দক্ষিণদিকে তরুণ-তারণ অবস্থিত। ইহাও একটা প্ৰসিদ্ধ স্থান। শুনিলাম যে এখানে প্ৰায় ৬০০ শত হাত দীর্ঘ এবং৫০০ শত হাত প্ৰশস্ত একটি সরোবর আছে। প্ৰবাদ আছে, যদি কোন কুণ্ঠব্যাধিগ্রস্থ ব্যক্তি সঁতার দিয়া উহা পার হইতে পারে, তাহা হইলে সে ব্যক্তি নীরোগ হয়। দুর্ভাগ্যক্রমে কোন অসুবিধা ঘটায়, এই দৈবশক্তি সম্পন্ন সুবৃহৎ, দীর্ঘিকা দেখিতে যাইবার সুযোগ vis-Note 6 .