পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রায় সকলের সহিতই আমাদের সাক্ষাৎ ও আলাপ পরিচয়াদি হইয়াছে। বাবু কমিসরিয়েটের বড় বাবু। ইহার - ন্যায় নিরহঙ্কার ও অমায়িক লোক । অতি অল্পই দেখিতে পাওয়া যায়। এস্থানে জলের কল থাকায় পানীয়। জলের নিমিত্ত কোনও কষ্ট পাইতে হয় না। অধিবাসীর মধ্যে মুসলমানই বেশী। মটী যাইতে এখান হইতে পাঁচ ঘণ্টার অধিক সময় লাগে না। পাঞ্জাবের মধ্যে রাবালপিণ্ডিই সর্বশ্রেষ্ঠ স্বাস্থ্য-নিবাস। ছোট ছোট পাহাড়ের উপর । বারাক ও বাড়ী নিৰ্ম্মিত হওয়ায় দেখিতে পরম রমণীয় হইয়াছে। যদিও রাবলিপিণ্ডি ভারতের সীমান্তবৰ্ত্তী নগর নহে, তথাপি এইখানেই বহুসংখ্যক সৈন্য বাস করে। ইহার চতুর্দিকেই পার্বত্যজাতির উৎপাতের কথা শুনিতে পাওয়া যায়। শীত এখানে অত্যন্ত বেশী। এখানকার নদীর উপরে ষে নৌ-সেতু আছে, তাহা অপর পারে আটক নগরের দুর্গ কর্তৃক সুরক্ষিত। এখানকার সমস্ত সেনানিবাস সহরের কেল্লা ও আটকের কেল্লার মধ্যস্থলে হওয়ায় বিশেষভাবে সুরক্ষিত। ছাউনির নীচে নদীর নাম লেহু। মটী এখানকার সৈন্যগণের রোগনিবাস। সেখানকার ব্রুয়ারী অর্থাৎ মদ-চেলাই। করিবার কারখানা একটি দেখিবার বিষয় বটে, কিন্তু আমাদের যাওয়া ঘটে নাই । আটক পার হইয়া পেশোয়ার যাইতে হয় । ।