পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"... কক্ষ আছে—সে সমুদয়ের মধ্যে রূপসীগণ তৈল মর্দনাদি করিতেন। তিনটী সুন্দর সুন্দর প্রকোষ্ঠে বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উৎসরাজি নিৰ্ম্মল মেজের উপর বিস্তৃত রহিয়াছে।--তাহদের কোনটির মধ্য হইতে উষ্ণ, কোনটির মধ্য হইতে শীতল। জলের ধারা বহির্গত হইয়া জলাধারগুলি পূর্ণ করিত। সম্মুখের একটীি কক্ষের মধ্যস্থলে পদ্মের মত একটী কুণ্ড আছে ইহাতে গোলাপজল রক্ষিত হইয়া কক্ষটিকে সুবাসিত রাখিত। এতদ্ব্যতীত আরও কয়েকটি কক্ষ দেখিতে পাইলাম সেগুলি যে কি কাৰ্য্যে ব্যবহৃত হইত। তাহা এখন কে নির্ণয় করিতে পাবে ? আর এক স্থানে একটা সংকীর্ণ মৰ্ম্মর পথ দেখিতে পাইলাম পূর্বে এই পথে অন্তঃসলিলা রূপে যমুনার পূতবারি রঙ্গমহাল ও দেওয়ানী খাসের ভিতর দিয়াe এস্থানে আনীত হইত। বহুকাল হইল সে স্রোত শুষ্ক হইয়া গিয়াছে। মোগল সম্রাটগণ যে কতদূর বিলাসী ছিলেন বৰ্ত্তমান সময়েও তঁহাদের কীৰ্ত্তিকলাপের ধ্বংসাবশেষ হইতে তাহা সুন্দর রূপে অধ্যয়ন করিতে পারা যায় । স্নানকক্ষের wift (Gš “f life t” (The mosque of golden dla omnes ) অবস্থিত । পুরমহিলাগণ ইহাতে পরমেশ্বরের উপাসনার নিমিত্তে সমবেত হইতেন । ইহা শ্বেত প্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত। আওরঙ্গজেব কর্তৃক এই মসজিদ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল—আগ্রার মতি মসজিদের সহিত তুলনায় ইহা হীন বিবেচিত হইলেও এই উপাসনা মন্দির ও উপেক্ষনীয় নহে। কোনও রূপ রঙ্গের কাৰ্য্য ইহাতে নাইকেবল শ্বেতমশ্মর প্রস্তরের কারুকাৰ্য্য দ্বারাই ইহা পরিশোভিত । এস্থানে সম্রাটকে বেষ্টন করিয়া রাজঅন্তঃপুর-কামিনীগণ উপাসনা করিতেন। এখন এই মতি মসজিদ নিরাভরণা হিন্দু বিধবা যুবতীর ন্যায় মলিন ও শ্ৰীহীন । দুর্গ প্রাচীরের বহির্ভাগে সুপ্ৰশস্ত উন্নত ভূমির উপরে জামে মসজিদ অবস্থিত। তাজমহল নিৰ্ম্মাতা সাহাজাহানের ইহা এক অতুল কীৰ্ত্তি। প্ৰতিদিন দশ সহস্ৰলোক কৰ্ম্মে নিযুক্ত থাকিয়া আট বৎসর ছয়মাসে এই সুবৃহৎ উপাসনা মন্দিরের নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য শেষ করিয়াছিল, ইহার নিৰ্ম্মাণে প্ৰায় পনের লক্ষ টাকা ব্যয় হইয়াছিল— অতু্যচ্চ বেদীর উপর অত্যুচ্চ ফটক শোভিত এই মসজিদ দৰ্শকের S89 भठि भछिन । জামে মসজিদ ।