পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আলাই দরজা দর্শনান্তে আমরা আদমর্থার সমাধি-মন্দির দর্শন করিলাম। আলাই দরজার পূর্ব পার্শ্বে আদম খাঁর সমাধি অবস্থিত। এই উদ্ধত সেনাপতিই তাগাখাকে বিদ্বেষ বশতঃ হত্যা করিয়াছিল। সমগ্ৰ মন্দিরটীি মৰ্ম্মর প্রস্তর নিৰ্ম্মিত উদ্ধে একটা সুন্দর। গুম্বজ, আর চারিদিকে অষ্টভুজ সুন্দর বারান্দা। এই মন্দিরের সোপান শ্রেণী অত্যাশ্চৰ্য্য কৌশলের সহিত বিরচিত; অর্থাৎ ইহার যে সিড়ি উপরের দিকে গিয়াছে তাহ ধরিয়া উঠিতে আরম্ভ করিলে নিম্নে নামিতে হয়, আর নিম্নাভিমুখে যে সিড়ি গিয়াছে তাহ ধরিয়া। নামিতে আরম্ভ করিলে উপরে উঠতে হয়। এই কৌতুহলজনক ভ্ৰমের জন্য ইহা “ভুলভুলিয়া” নামে অভিহিত হইয়া থাকে। এখন এই সমাধি-ভবন বিশ্রামাগাররূপে ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে । এস্থানে বিশ্রাম করিতে হইলে ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতি গ্ৰহণ আবশ্যক। ১৫৬২ খ্ৰীঃ অব্দে উজীর সামসুদ্দীনকে অন্যায়রপে হত্যা করার অপরাধে ইনি দুর্গপ্রাচীরের উপর হইতে নিক্ষিপ্ত হইয়া নিহত হন । এই সমাধি-মন্দিরের সন্নিকটে সম্রাট আকবরের পালক পিতা মহম্মদ কুলি খাঁর সমাধি দেখিতে পাইলাম। এ সমাধি-মন্দির ১৫৫০ খ্ৰীষ্টাব্দে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। বৰ্ত্তমান সময়ে ইহাকে মেটকাফ হাউস কহে, কারণ সার চার্লস থিউ ফিলাস যখন দিল্লীর রেসিডেণ্ট ছিলেন সে সময়ে তিনি এস্থানে বাস করিতেন বলিয়াই ইহার নাম মেটকাফ হল বা হাউস হইয়াছে। বর্তমান সময়ে ইহাকে বিলাতী হোটেল বলিলেই যথার্থ নামে অভিহিত করা হয় । কুতব হইতে ফিরিবার পথে প্ৰাচীন হিন্দু দিল্লী জয়সিংহের যন্ত্র মন্ত্র ও টোগলকাবাদ দর্শন করিয়া আসিলাম । টোগলকাবাদ ১৩২৪ খ্ৰীষ্টাব্দে টোগলকগাজী কর্তৃক আরম্ভ হইয়া ১৩২৫ : খ্ৰীষ্টাব্দে উহার নিৰ্ম্মাণ-কাৰ্য্য শেষ হয়। ইহা একটা গণ্ড শৈলোপরি নিৰ্ম্মিত। কুতব হইতে ইহার দূরত্ব প্ৰায় ৩০ মাইল হইবে। দুঃখের । বিষয় যে তোগলক সাহ এই নগরের নিৰ্ম্মাণ সম্পূৰ্ণ করিয়া যাইতে পারেন নাই। কাৰ্য্যারম্ভের এক বৎসর পরেই তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছিলেন। নগর প্রাকার দর্শনে অনুমিত হয় যে ইহাও বৰ্ত্তমান দিল্লীর Sweep खांनिभक्षॊब्र ममा ि। (१व्लक ।