পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ल्लोि । সূৰ্য্যালোকে প্রতিফলিত হইয়া আমাদের নয়ন ঝলসাইয়া দিতেছিল, আর তাহার ধবল। ছবি সরোবরের নিৰ্ম্মল সলিলে প্ৰতিবিম্বিত হইয়া বড়ই মনোহর দেখাইতেছিল। মানবজীবনের একি বিচিত্ৰতা! চারিদিকে মৃত্যুর বিকট গ্রাসের মধ্যে রহিয়াও তাহারা আপন জীবনের প্রতি উদাসীন । কবি যথার্থই গাহিয়াছেন, 'Death is here and death is there, Death is busy every where." - এই সুন্দর তুষারধবল গুম্বজটীর বহির্দিকের ব্যাস ৪৪ ফুট, উচ্চতা প্ৰায় ২০ ফুট এবং আভ্যন্তরিক ব্যাস ৩৪ ফুট । মন্দিরের সমগ্ৰ উচ্চতা ৮০ ফুট, কারণ মন্দিরের প্রাচীর ৩৮০ ফুট উচ্চ, উহার নিম্নের বেধ ১১॥০ ফুট আর উদ্ধের বেধ ৪ ফুট। গম্বুজের উদ্ধে লোহিত প্ৰস্তরের টোপর ও তদূৰ্দ্ধে চূড়া থাকায় দেখিতে বড়ই সুন্দর বোধ হয়। যে মহম্মদ সাহ তোগলক জীবনে নানাবিধ নিৰ্ম্মম ও পৈশাচিক কাৰ্য্য সম্পাদন করিয়া জনসাধারণের নিকট কৃষ্ণবর্ণে চিত্রিত হইয়া গিয়াছেন, র্যাহার অত্যাচার অবিচার সহিয়া লোকে প্রতি মুহূর্তে র্তাহার মৃত্যুকামনা করিত, সেই গুরুতর পাপী মহম্মদ তোগলক সাহি আজ কোথায় ? কোথায় তাহার সেই দস্ত ? কোথায় তাহার সেই নিষ্ঠারতা ? তিনি আজ মৃত্যুর কবলে নিপতিত বটে কিন্তু কই তাহার পাপরাশিত মুছিয়া যায় নাই ! লোকে যখন পাপকাৰ্য্যে ব্ৰতী হয় তখন সে এক মুহূৰ্ত্তের নিমিত্ত ভাবে না যে মৃত্যুর বিকট গ্রাস তাহাকে চারিদিকে ঘিরিয়া রহিয়াছে, যদি তাহা ভাবিত, তাহা হইলে বুঝি পৃথিবী হইতে পাপ নাম উঠিয়া যাইত, তাহা হইলে বুঝি জগতে নৃশংসতা বলিয়া কিছুই থাকিত না । মহম্মদ তোগলক আজি তুমি কোথায় ? কই এখনত তোমার সেই নামের বিভীষিকা নাই, কেহই ত আর তোমার নামে ভীত নহে। হায়! “Imperious Caesar, dead, and turn'd to clay, Might stop a hole to keep the wind away : Oh, that the earth which kept the world in awe, Should patch a wall to expel the winter flow!"