পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । প্ৰথমে আমরা আড়ঢ়াই রোজকা বুপৃিড়ি বা ঝমপ্ৰা” নামক মসজিদটি দেখিতে গমন করিলাম। এই মসজিদটী দেখিতে বড়ই সুদৃশ্য। এক আড়াই দিনক সময়ে যে ইহা হিন্দুমন্দির ছিল এবং হিন্দু নরপতি কর্তৃক কম্প্রী। নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, তাহা ইহার আভ্যন্তরিক কারুকাৰ্য্যাদি অবলোকন করিলেই সুস্পষ্ট উপলব্ধি হইয়া থাকে। মুসলমানগণও ইহা হিন্দুকর্তৃক নিৰ্ম্মিত একথা একবাক্যে স্বীকার করেন। ফাগুসন সাহেব বলেন যে, ইহার নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য সুলতান আলতামসের রাজত্ব সময়ে ১২০০ খ্ৰীঃ অব্দে আরব্ধ হইয়া ১২১১-১২৩৬ খ্ৰীষ্টাব্দে সমাপ্ত হইয়াছিল ; কিন্তু প্ৰচলিত জনপ্ৰবাদ এইরূপ যে, আড়াইদিনের মধ্যে এই মসজিদের নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য শেষ হওয়ায় ইহার নাম ‘আড়াই দিনক কমপ্ৰা’ হইয়াছে। কিন্তু স্থানীয় মুসলমান পাণ্ডা বলিল যে, ইহা চৌহানকুল-ভূষণ পুথুিরাজ কৰ্ত্তক, নিৰ্ম্মিত হইয়াছি পূর্বে নাকি প্রত্যহ এস্থান হইতে ১৮০টা ঘণ্টা একসঙ্গে ধ্বনিত হইত, কিন্তু মুসলমানের হস্তে পড়িয়া মসজিদের আকার প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে সে সমুদয় অন্তহিত হইয়াছে। বত্ৰিশট কারুকাৰ্য্যময় উচ্চ প্ৰস্তরস্তস্ত দ্বারা ছাদটি সুরক্ষিত। মসজিদের দ্বারে ও গাত্রে কোরাণের বহু বয়েৎ আরবী অক্ষরে খোদিত রহিয়াছে দেখিতে পাইলাম । ইহার ছাদ এখন ভগ্নপ্ৰায় । কমপ্ৰায় প্রবেশের পথপার্শ্বে একটী কক্ষে বহু সুন্দর সুন্দর খোদিত প্ৰস্তরমূৰ্ত্তি অবলোকন করিলাম। এগুলি যে প্রাচীন হিন্দু স্থাপত্যের নিদর্শন তদ্বিষয়ে বিন্দুমাত্ৰও সন্দেহ নাই। কামপ্রার অনতিদূরে সহরের গৰ চিন্তা, দক্ষিণদিকে মৈনুদ্দীন চিস্তীর দরগা। অবস্থিত। এই দরগাটি 昭引1 বৃহৎ ও মনোরম। মোগল সম্রাটগণের মধ্যেও কেহ কেহ ইহার চত্বর মধ্যে অট্টালিকাদি নিৰ্ম্মাণ করিয়া ইহার শোভাসম্পদ বুদ্ধি করিয়া গিয়াছেন। মোগল-কুল-তিলক আকবর ও শাহহান নিৰ্ম্মিত শ্বেত-প্রস্তরের দুইটী মসজিদ উল্লেখযোগ্য। আঙ্গিনায় প্রবেশের ফটকের উপর সুবৃহৎ দুইটী নহবৎ স্থাপিত আছে। কিম্বদন্তী এইরূপ যে, আকবর শাহ্ চিতোর বিজয়ের পর এই প্রস্তর নিৰ্ম্মিত অপূর্ব সৌন্দৰ্য্যময় নহবতখানা দুইটী চিতোর রাজপ্রাসাদ হইতে আনয়ন করিয়াছিলেন। এই দরগা হইতে প্ৰতিদিন ৬০/৭০/ মণ চাউল সিদ্ধ হইয়া দরিদ্রগণকে অন্নদান R