পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিনার” এবং রাজা ঈশ্বরী সিংহ নিৰ্ম্মিত “ঈশ্বরী মিনার” অবস্থিত । উভয়ই দেখিতে অত্যন্ত সুন্দর। জয়পুরের আর্টস্কুল একটী দেখিবার জিনিষ, এ | স্থানের শিল্পজাত ও কারুকাৰ্য্য দেখিতে অত্যন্ত সুন্দর। এক কলিকাতা আর্টস্কুল ব্যতীত ভারতের আর কোন শিল্পবিদ্যালয়ই ইহার আর্টস্কুল । সমকক্ষ নহে। এই শিল্প-বিদ্যালয়টি মৃত মহারাজ রাম- | সিংহের এক অক্ষয় কীৰ্ত্তি। ছাত্ৰগণকে চিত্র, কাষ্ঠ, পিত্তল ও পাথর ২ ইত্যাদির দ্বারা নানাবিধ ব্যবহাৰ্য্য দ্রব্যের নিৰ্ম্মাণ শিক্ষা-দেওয়া হইয়া থাকে। শিক্ষকগণও প্ৰত্যেকে এক একজন খ্যাতনামা শিল্পী । রাজা মহারাজগণ প্রতিষ্ঠাপিত এ সমুদয় শিল্পবিদ্যালয়দ্বারা ভারতবর্ষের লুপ্তপ্রায় শিল্প-গৌরবের যে পুনঃপ্রতিষ্ঠা হইতে পারে, তাহা এখানকার ছাত্ৰগণের নিৰ্ম্মিত শিল্পদ্রব্যাদি দর্শন করিলে, সহজেই বুঝিতে পারা যায়। শিল্পের অবনতির নিমিত্তই যে আমাদের দেশের এই দারুণ অবনতি সংঘটিত হইতেছে, তাহা আর নূতন করিয়া কাহাকেও বুঝাইতে যাওয়া অনাবশ্যক। আমরা কাঞ্চন ফেলিয়া কাচে গ্রন্থি দিতেছি—তাই দুৰ্দ্দশাও দূর হইতেছে না—দুর্ভিক্ষরাক্ষসীর বিকটগ্ৰাস হইতেও মাক্তিলাভ করিতে পারিতেছি না । এখানে একটী প্ৰস্তরনিৰ্ম্মিত গাভী ও বাছুর দর্শনে মুগ্ধ হইয়াছিলাম । রাজপ্ৰাসাদ দর্শনের পর, বাসায় আসিয়া আহার ও বিশ্রামাদির পরে আমরা মহারাজ রামসিংহের সাধের “রামবাগ” নামক উদ্যান দর্শন করিতে গমন করিলাম। এত বড় এবং এমন সুন্দর কারুকাৰ্য্যময় উদ্যান ভারতবর্ষের অন্যত্ৰ দেখিয়াছি বলিয়া মনে হয় না । উদ্যান-মধ্যে লর্ড মেওর একটী সুন্দর মূৰ্ত্তি আছে। নানাজাতীয় বৃক্ষলতায় সুশোভিত সবুজ-সুন্দর দূর্বাদলে সজ্জিত এই উষ্ঠানটি পৰ্য্যটককে একেবারে । বিমুগ্ধ করিয়া ফেলে। কোথাও লতাকুঞ্জবনে লাল সাদা ও হলুদ রঙ্গের ফুল। ফুটিয়া রহিয়েছে, কোথাও কৃত্রিম সরিৎ দিয়া জল নিৰ্গত হইতেছে-কোথাও জলস্রোতের উপর ক্ষুদ্র সেতু এবং কোথাও বা জীবিতৰৎ কৃত্রিম প্ৰস্তুরপ্ৰতিমূৰ্ত্তি রক্ষিত। উষ্ঠানের একপার্শ্বে সুদৃশ্য নানারূপ মূল্যবান প্ৰস্তৱাদি । গঠিত “এলবাৰ্ট হল”। বিরাজিত । এই সুন্দর সৌধখানি নিৰ্ম্মাণ করিতে 2alभराiी । লক্ষ লক্ষ মুদ্রা ব্যয়িত হুইয়া গিয়াছে। অট্টালিকার মধ্যে দরৰার গু