পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ। ভক্তিমতী প্ৰিয়তমা কন্যা জাহানারা বেগমের জন্য ১৬৪৪ খ্ৰীষ্টাব্দে ইহা নিৰ্ম্মিত হয়। প্রত্নতত্ত্ববিদ ফাগুসন সাহেব ইহাকে পাঠান ও মোগল স্থাপত্যের মিশ্রণে নিৰ্ম্মিত বলিয়া সিদ্ধান্ত করিয়াছেন । অবসান্ন দেহে ও অবসন্ন মনে সে দিনের মত বাসায় ফিরিয়া আসিলাম । সহৃদয় দর্শকের নিকট তাজমহল হইতেও আগ্ৰাদুৰ্গ অধিকতর হৃদয়দ্রবকারী। প্ৰাচীন ভারত-ইতিহাসের জীবন্ত প্ৰাচীন স্মৃতি ইহার প্রতি প্ৰস্তরকাণায় জড়িত রহিয়াছে। মুহুর্তের মধ্যে হৃদয়ে মোগলের সেই বীরত্বগৌরব ও শৌৰ্য্যবীৰ্য্যের কথা মনে পড়িয়া দারুণ ক্ষোভের সঞ্চার হইল। কোথায় বা সেই জয়দীপ্ত মোগল সৈন্যের উল্লাসধবনি, কোথায় বা ভুবন-মন-মোহিনী রমণীবৃন্দের নিটোল যৌবন ও বিলোল কটাক্ষ, আর কোথায়ই বা সম্রাটগণের শাসন-বিলাসের উচ্ছ জ্বলতা। ‘নিশ্বর জগতে হায়! नकविन नधन ।।” পরদিন প্ৰত্যুষে গাত্ৰোত্থান করিয়া মহামতি আকবরের সমাধিস্থল সেকেন্দ্ৰ দেখিতে যাত্ৰা করিলাম। উহা আগ্ৰা নগরী হইতে ছয় মাইল দূরে অবস্থিত। তখন কেবলমাত্ৰ সূৰ্য্যদেব কিরণ-বিকীরণে ধারণী হাস্যময়ী করিতে ছিলেন। চারিদিকে তখনও পূর্ণ জাগরণের আভাষ পাওয়া গেল না। সুন্দর নিৰ্ম্মল প্ৰভাত ! আকাশ মেঘশূন্য গাঢ় নীল—আর সেই গাঢ় নীল-সাগরে সূৰ্য্যদেব জ্বলন্ত প্রভান্বিত দীপ্ত মণি। প্ৰস্তর মণ্ডিত চকের রাস্ত দিয়া আমাদের গাড়ী অগ্রসর হইতে লাগিল ; এ রাস্তা বিশেষ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন-তখনও চকে ভাল করিয়া লোক জমে নাই। তখনও বিপণিতে ক্রেতার দল আসিয়া বেশী পরিমাণে বেঁকে নাই, তবু কিন্তু চক জন-কোলাহলে-মুখরিত। চকের পথে কিয়দ্দূর অগ্রসর হইয়া লোহিত প্ৰস্তার-নিৰ্ম্মিত সুবিশাল “দিল্লী দরওয়াজ” নামক দ্বার উত্তীর্ণ হইলাম, পূর্বে আগ্ৰা প্রাচীরবন্ধ নগরী ছিল, এই দরওয়াজা তাহারি একটী দ্বার, দিল্লী, লাহোর ও কাশ্মীর উপনীত হইলাম। এই দ্বারের কথা বিশেষরূপে উল্লেখযোগ্য । ইহাকে RRR C死夺西11