পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনিন্দ্য সুন্দর দৰ্গাটি আকবর শাহ ও জাহঁাগীর বাদশাহের সেলিমচিস্তির উপরে তাহদের ভক্তি ও শ্রদ্ধার অপূর্ব নিদর্শন স্বরূপ নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছেন। এই দর্গাতেই সলিমচিস্তির কবর স্থাপিত। অদ্যাপি হিন্দু ও মুসলমান বন্ধ্যা স্ত্রীলোকগণ সন্তান লাভাকাঙ্ক্ষায় এস্থানে আগমন করিয়া থাকেন। ዶ মুসলমানেরা এবং হিন্দুরা সকলেই সেলিমচিস্তির দর্গার প্রতি সম্মান প্ৰদৰ্শন করিয়া থাকেন । বহির্ভাগ হইতে সেলিম চিন্তির দাগ সমস্তই শ্বেত মৰ্ম্মর প্রস্তর নিৰ্ম্মিত বলিয়া অনুমিত হয়। চতুর্দিকের প্রাচীরের ঝিল্লীকাটা (trellis work) tris 13 হইতেই বড় মনোরম বোধ হইয়া থাকে । কবর-প্ৰকোষ্ঠের বারেন্দা ও বারেন্দার উপরে ঘরের চালার মত হেলান কানিস বিদ্যমান। বাহিরের প্রাচীর-গাত্রে কোরাণের বচন-সকল অঙ্কিত রহিয়াছে। প্রকোষ্ঠের অভ্যন্তরে প্রায় ৪ ফুট উচ্চ পৰ্য্যন্ত শ্বেত মৰ্ম্মর প্রস্তরে ও বাকী অংশ লোহিত প্ৰস্তর দ্বারা গঠিত। সেলিম-চিস্তির কবরের উপরে চারিটী আবলুস কাষ্ঠের থামের উপর ঐ কাষ্ঠেরই নিৰ্ম্মিত একটী চাঁদোয়া আছে, ঐ চাঁদোয়ার মধ্যে ও তাহার পায়ায় যে সমুদয় ঝিনুকের কারুকাৰ্য্য আছে, তাহা অতীব সুন্দর, বিশেষতঃ প্ৰকোষ্ঠ-মধ্যে আধ-আলোক ও আধ-অন্ধকারের সম্মিলনে সর্বপ্রথমে উহা দৃষ্টিতে পড়ে এবং আমরা তাহা দেখিয়া। এতদূর মুগ্ধ হইয়াছিলাম যে তাহা বৰ্ণনাদ্বারা প্ৰকাশ করা অসম্ভব। সেলিম চিস্তির মৃত্যুর অব্যবহিত পরে ১৫৭২ খ্ৰীষ্টাব্দে এই দগ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল বলিয়া কোন কোন ঐতিহাসিক পণ্ডিত স্থির করিয়াছেন। এই দৰ্গার কিঞ্চিৎ দক্ষিণে একটী চৌবাচ্চা আছে এবং তাহার অল্প পূর্ব-উত্তরে সেলিমচিস্তির পরিবারস্থ রমণীবৃন্দের সমাধি-স্থান। উহার পাশ্বেই চিস্তিসাহেবের পৌত্র জাহঁাগীর বাদশাহের রাজত্বকালে বাঙলার শাসনকৰ্ত্তা ইসলাম খাঁর সুন্দর সমাধি সৌধ বিরাজিত ৷ দৰ্গার উত্তরাংশে আকবর শাহের চির সহচর ও অকৃত্ৰিম বন্ধু আবুল-ফজল ও তাঁহার ভ্রাতা রাজকবি ফৈজির বাসস্থান। আজকাল র্তাহাদের বাস-ভবনে ইংরেজী-স্কুল হইয়াছে। চত্বরের পূর্ব দিকের দ্বার দিয়া বহির্গত হইয়া উত্তরাংশে কিঞ্চিৎ অগ্রসর হইলেই যোধাবাই ૨રbr