পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দৃশ্যের অবতারণা, কোথাও শিকার দৃশ্য ;- সবগুলিই স্বাভাবিক ও সুন্দর, কিন্তু হায় ! কালের প্রভাবে ক্ষীণ হইতেও স্বাক্ষীণতর হইয়া গিয়াছে। একটা চিত্র বুদ্ধদেবের। প্রকোষ্ঠের দ্বারোপরি আকবর বাদশাহের প্ৰশংসা-সূচক নানাবিধ কবিতা দেদীপ্যমান, এসকল কবিতার রচয়িত । ফৈজী । একটী দ্বারের উপরিস্থিত কবিতার ভাবাৰ্থ এইরূপ যে “স্বর্গের দেববালাগণ এই কক্ষের দ্বারদেশস্থ ধূলিকণা নেত্রের কজ্জ্বল রূপে ব্যবহার | করিতে পারেন।” অপর একটীিতে আছে, “এই প্ৰাসাদ স্বর্গের অনুরূপে । প্ৰস্তুত। ইহার প্রাঙ্গণকে স্বর্গের দ্বার-রক্ষকগণ দৰ্পণ স্বরূপ ব্যবহার করিতে | পারেন। আকবর বাদশাহ এই প্ৰাসাদ শয়ন-মন্দির রূপে ব্যবহার | করিতেন । এস্থান হইতে—আমরা বেগম মহল দেখিতে অগ্রসর হইলাম। : এখানকার সুন্দর সৌষ্ঠব সম্পন্ন সৌধ-নিচয় দেখিলেই বুঝিতে পারা যায় । যে এক সময়ে আকবর বাদশাহ ইহাই আপনার পরিবারবর্গের বাসস্থান রূপে স্থির করিয়াছিলেন। এস্থানে বহু ভিন্ন ভিন্ন প্ৰাসাদ অবস্থিত । সমস্তটা মহলাই লোহিত-প্ৰস্তর-গঠিত। একটী বৃহৎ আঙ্গিনার চতুষ্পার্থে অন্তঃপুরের গৃহশ্রেণী সুন্দর শোভা পাইতেছে। অলিন্দে, স্তস্তে ও : কক্ষের সুন্দর নয়ন-মন-মােহকার কারু-কাৰ্য্যাবলী দর্শককে বিমুগ্ধ করিয়া । ফেলে। খাসমহলের ঠিক উত্তর পূর্ব কোণে রুমি বেগমের প্রাসাদ অবস্থিত, রুমি বেগম কে ছিলেন তাহার কোনও ঐতিহাসিক বিবরণ বিশদরূপে কেহই উল্লেখ করিতে পারেন নাই। এই প্ৰাসাদের সংলগ্ন স্তাম্বুলি বেগমের প্রাসাদটি একতালা হইলেও ইহার কথা উল্লেখযোগ্য, ইহার প্রকোষ্ঠের ভিতর ও বহির্ভাগ সুন্দর প্রস্তর-কাৰ্য দ্বারা সুশোভিত। - প্ৰকোষ্ঠের প্রস্তর প্রাচীরে খোদিত পশু পক্ষী ইত্যাদি সকলই মস্তকহীনএই সব মারতগুলি সকলই স্বাভাবিক—কিন্তু ধৰ্ম্মান্ধ মোগল সম্রাটের রোষানলে পতিত হইয়া সে সমুদয় সকলই भर्डक विशैन । হইয়া বিগত-শ্ৰী হইয়াছে। খাস মহলের উত্তর-পশ্চিম দেখিলাম। পাঁচমহালের গঠনাকৃতি অন্যান্য সৌধাৰলী হইতে একটু পাঁচমহাল ।