পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

mo জগতের আর কোথাও নাই। এজন্যই প্ৰতি পুরাণগ্রন্থে ঋষিগণ প্ৰাণ । ভরিয়া কাশীমাহাত্ম্য কীৰ্ত্তন করিয়া গিয়াছেন। কত ধৰ্ম্মানুরাগী বৃদ্ধবৃদ্ধি, প্রৌঢ় ও প্ৰৌঢ়ীগণ যে “শেষের সে দিনের অপেক্ষায় এখানে বাস করিতেছেন । তাহার ইয়াত্তা নাই ; কারণ হিন্দুশাস্ত্রের মতে যে ব্যক্তির এ স্থানে দেহত্যাগ হয়, সে ব্যক্তি সমুদয় পাপ হইতে বিমুক্ত হইয়া নির্বাণ লাভ করে। কাজেই । শেষ বয়সে অধিকাংশ হিন্দু নরনারী এ স্থানে বাস করেন। এক সময়ে হিন্দুর এই পবিত্র তীর্থেও যে বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত ছিল, এখনও তাহার বহু চিহ্ন বিদ্যমান আছে। কাশীর নিকটবৰ্ত্তী সারনাথে বহু বৌদ্ধকীৰ্ত্তি ছিল, এখনও তাহার বহু ধ্বংসাবশেষ পড়িয়া আছে, আমরা সে বিষয় সারনাথ-প্রবন্ধে আলোচনা করিলাম। : 'ললিতবিস্তর’ নামক বৌদ্ধগ্রন্থ-পাঠে জ্ঞাত হওয়া যায় যে, বৌদ্ধদিগের প্রাধান্য সময়ে বারাণসীর নিকটে ঋষিপত্তনে মুগাদব নামক স্থানে শাক্যসিংহ ধৰ্ম্মোপদেশ প্রদান করিয়াছিলেন। “বিষ্ণু ও ব্ৰহ্মাণ্ড-পুরাণের মতে কাশীরাজ বা কাশ্য নামক আয়ুবংশের সুহোত্ৰপুত্ৰই সর্বপ্রথমে এ স্থানের সিংহাসনে আরোহণ করেন, খুব সম্ভব যে এই নৃপতির নাম হইতেই الأمير नहि। “কাশী’ এই নাম হইয়াছে। বৌদ্ধধৰ্ম্মের আধিপত্যের পর পুনরায় যে কোন সময়ে বারাণসীতে হিন্দুধৰ্ম্মের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহ নির্ণয় কর স্বকঠিন। পরিব্রাজক হিউএনসিয়াং ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষভাগে যখন বারাণসীতে আগমন করেন, তখন তিনি এস্থানে হিন্দুধৰ্ম্মেরই প্ৰাবল্য দর্শন করিয়াছিলেন, তখন এস্থানে শতাধিক দেব-মন্দির ও প্রায় দশসহস্ৰ দেব-উপাসক ছিল। শ্ৰীক্ষেত্রের ‘মাদলাপঞ্জীর মতে । জানিতে পারা যায় যে, রাজা যযাতিকেশরী ৬ কাশীধামের দেবমন্দিরসমূহের অনুকরণেই ৩৯৬ শকে ভুবনেশ্বরে প্রধান শিব-মন্দির প্রস্তুত করাইয়াছিলেন। অতএব হাৈর পূর্ব হইতেই যে কাশীধামে হিন্দুধৰ্ম্মের শ্রেষ্ঠত্ব বিরাজমান ছিল, তাহ অনুমান করা অসঙ্গত নহে। কাশীতে বহুতীর্থ বিরাজিত ; কিন্তু বিশ্বেশ্বরই এখানকার প্রধান বিগ্ৰহ। ইনিই এস্থানের সর্বপ্রধান লিঙ্গ। এই শিবলিঙ্গের তুল্য শিবলিঙ্গ আর কোথাও নাই। কাশীখণ্ডে লিখিত আছে যে “কলো বিশ্বেশ্বরে দেবঃ কলেী বৌদ্ধ কীৰ্ত্তি । विश्द्ध ।