পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । এই ফলকের পার্শ্বদেশেই আর একটীি প্রস্তর ফলকে নানা কথা লিখিত আছে, কিন্তু সে ভাষা আমাদের অনধিগম্য বলিয়া পাঠকদের কৌতুহল নিবৃত্তি করিতে সক্ষম হইলাম না। : মান-মন্দিরের উত্তরাংশে অন্যাপিও জীৰ্ণশীর্ণবস্থায় বাদশাহুদিগের প্ৰাসাদমালা সমূহ দেখিতে পাওয়া যায়, উহাদের অবস্থা। এতদূর শোচনীয় হইয়া পড়িয়াছে যে, ভিতরে প্রবেশ করিয়া ভালরূপে দেখা অসাধ্য। দুর্গের উপর হইতে অদূরবর্তী . সৌধমালা । विष्ट्रविड व्लक्ष्द्र नशौ वज्रशे সন্ধ্যার অব্যবহিত পূর্বে বাসায় ফিরিয়া আসিবার পথে এস্থানের একমাত্র মুসলমান কীৰ্ত্তি প্ৰসিদ্ধ গায়ক তানসেন এবং তঁহার গুরু গায়সউদ্দীন বা মহন্ধদা ঘাউসের কবর ও তৎসংলগ্ন জামে মসজিদ দেখিয়া আসিলাম, নানা দূর দেশ হইতে প্ৰসিদ্ধ প্ৰসিদ্ধ গায়কগণ তানসেন ও তাহার গুরুর সমাধি দেখিতে আগমন করিয়া থাকেন। সমাধি মন্দিরটীি কারুকাৰ্য্য সম্পন্ন, ইহার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে একটী ক্ষুদ্র অথচ সুন্দর মন্দিরের নীচে সঙ্গীতাচাৰ্য্যের দেহ প্রোথিত রহিয়াছেন। একদিন যার সুমধুর রাগিণী ঝঙ্কারে ভারতেশ্বর আকবর বাদশাহ মোহিত হইতেন, আজ সে কোথায় ? কোথায় সেই সম্রাট আকবর, আর কোথায়ই বা তাহার সঙ্গীতাচাৰ্য্য ? আজ রাজা-প্ৰজা উভয়েই মৃত্তিকালীন। এখানে একটি তেঁতুল গাছ আছে, সমাধিদ্বয় হইতেও ইহার আদরই বেশী। জনসাধারণের মধ্যে একটী বিশ্বাস প্রচলিত আছে যে এই তেঁতুল গাছের পাতা চিবাইলে কণ্ঠস্বর সুমধুর হয় এবং সঙ্গীতজ্ঞ, হওয়া যায়। হায়রে অন্ধ বিশ্বাস ! এই নিমিত্ত অনেক গায়ক ও গায়িকা এই তেঁতুল গাছের পাতা খাইবার জন্য আসিয়া থাকে, আমরাও কয়েকটি পাতা চিবাইলাম ও মহম্মদ গায়েসের মন্দিরের কিছু ধূলি খাইলাম, যে গাছটি ছিল তাহা এইরূপ উৎপাতে মরিয়া গিয়াছে, এ গাছটি নূতন डिडिी बुक । গজাইয়াছে, যেরূপ পাতা খাওয়ার উৎপাৎ তাহাতে যে এগাছটিও জীবিত | ૨૨