পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করিয়াছিলেন । এই রাজার সেনা বিভাগে ৮৫ % • পদাতি, ১৪৬০ অশ্বারোহী ও ২৫০টী কামান আছে এবং ইহা ছাড়া প্ৰায় ৩৮৫০ জন প্রহরী রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে প্রহরা-কাৰ্য্যে নিয়োজিত থাকে। আমরা ভরতপুরে আসিয়াছিলাম-এখানকার প্রসিদ্ধ দুৰ্গটি দেখিবার জন্য। এই নগরটি দুর্গ দ্বারা সুরক্ষিত। ভরতপুর রাজ্যের চতুর্দিকে শৈলশ্রেণী শোভমান থাকিলেও নগরটি একটী সমতল ভূভাগের উপরে (VOTV) সহরের সমগ্র পরিধি চারিক্রোশ হইবে। সুন্দর ও সতেজ শ্যামল তরুশ্রেণী দ্বারা পরিশোভিত হইয়া এই নগরটি সহজেই ভ্ৰমণকারীর uD DBDDBB BD S DB BBDDBDBD DkiSDB BBDS DyiDSBBSDBDBD ছোট ছোট গিরিশ্ৰেণী দ্বারা পরিশোভিত । দুর্গটি এমনি কৌশলে নিৰ্ম্মিত হইয়াছে যে দূর হইতে দেখিলে মনে হয় যে ইহা উচ্চ ভূমিতে প্ৰতিষ্ঠিত। ইহার চারিদিকে দুর্ভেদ্য প্রাচীর, ইহা চতুষ্কোণ ও সুদৃঢ়-গোময় মৃত্তিকা । ভারা এই প্ৰাচীর গঠিত, প্রাচীরের পার্শ্বদেশে সবস্থানেই বৃহৎ গোময়-তৃণমৃত্তিকা লিপ্ত কাষ্ঠের বেষ্টন সমভাবে উথিত হইয়াছে এবং উহার সর্বত্রই কামান রাখিবার উচ্চ মৃত্তিকার চত্বর-উহা সর্বশুদ্ধ প্ৰায় ৩৪টীি হইবে । এই নগরে বাহির কেল্লা ও মধ্য কেল্লা নামক দুইটী কেল্লা আছে—মধ্য কেল্লার মধ্যস্থলে মহারাজার প্রাসাদাদি বিরাজিত। মধ্য কেল্লায় প্ৰবেশ করিবার জন্য দুইটি ফটক আছে। মহারাজার প্রাসাদ ও বাগান দেশী ও বিলাতি উভয় ফ্যাসানেই সুসজ্জিত ; দক্ষিণদিকে চৌৰঙ্গ ও উত্তরে আসল দুর্গ। ঠিক তাহারি সন্নিকটে বদনসাহ কর্তৃক নিৰ্ম্মিত পুরাতন প্রাসাদ। এতদ্ব্যতীত, গঙ্গাকিমন্দির, বৃহৎ বাজার, নূতন মসজিদ ও লক্ষণজির মন্দির প্রভৃতি প্রসিদ্ধ। এখানে উৎকৃষ্ট চামর প্রস্তুত হয়, ঐ চামর, চামরীর পুচ্ছে নিৰ্ম্মিত না হইয়া, হস্তী-দন্ত বা চন্দন কাঠের কুরি দ্বারা প্ৰস্তুত হয়, বাৎসরিক মহামেলার সময় ঐ সকল দ্রব্যের প্রচুর আমদানী হইতে দেখা যায় । নগরের জনসংখ্যা (৬৬.•••)। স্থানীয় অধিবাসিগণ অধিকাংশই কৃষ্ণ ভক্ত, শ্ৰীকৃষ্ণ এস্থানে বিহারী নামে পূজিত হন। সাধারণ লোকে এ স্থানকে বৃন্দাবনের স্থায় । &8