পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ। . . . *“ Nuwun imunumunumah স্থান করিতে লাগিলাম। অল্পী-তল্পা রাখিয়া বিশ্রাম ও স্নানাহার করিতেই বেল প্রায় শেষ হইয় গেল। মথুরার খাদ্য দ্রব্যাদি বড়ই রসনা তৃপ্তিকর। নানাবিধ মিষ্টি ও আটারখলুচি, দুধ এবং মালাই এখানে যথেষ্ট পরিমাণ মিলে। সন্ধ্যার প্রাক্কালে নগর দেখিতে বাহির হইলাম, তখন সূৰ্য্যদেবের প্রদীপ্ত প্রখরতা হ্রাস হইয়া আসিয়াছে। প্রদােষের শীতল ৷ সমীরণ ধীরে ধীরে প্রবাহিত হইতেছে। শান্তিপূর্ণ চিত্তে নগরের মধ্য हैं। অগ্রসর হইতে আরম্ভ করিলাম। বহু জনাকীর্ণ নগরের রাজপথে বহু লোক বিচরণ করিতেছে। চারিদিকে একটা ধৰ্ম্মের ও পুণ্যের অপূর্ব পবিত্রতা প্রতি দেবমন্দিরে বিরাজমান। ‘মথুরাবাসিনী মধুরহাসিনী’ রমণীবৃন্দ হসিত মুখে দ্রুত গমনে চলিয়াছে, কেহ বা পার্শ্বস্থ সঙ্গিনীর সহিত মধুর কণ্ঠে আলাপ করিতেছে, কোথাও বা ক্ষণিকের জন্য দাড়াইতেছে, তাহাদের সুগৌর তনু, যৌবনের দীপ্ত সৌন্দৰ্য্য, মন্থর গমনে ধীর মদালসতা-হাসিতে মনের আনন্দ ব্যক্ত হইয়া পড়িয়া বহুদিনের সেই গোপী যুবকের মধুর বাৎসল্য ও প্রেম-কাহিনীর মধুর-চিত্র হৃদয়ে উদয় হইতেছিল। মথুরার কেল্লা হইতে যমুনা-বাগ পৰ্যন্ত যমুনা বক্ষে সৰ্ব্ব সমেত প্রায় ২৪টা স্নানের ঘাট আছে,-এ সকল প্রত্যেকটিই কোন না কোন প্রাচীন ইতিহাসের সহিত বা পৌরাণিক তত্ত্বের সহিত সংশ্লিষ্ট। আমরা এখানে প্রধান প্রধান কয়েকটি ঘাটের নামােল্লেখ করিলাম। উত্তরে গণেশঘাট, মানস ঘাট, দশাশ্বমেধ ঘাট, চক্ৰতীর্থঘাট, কৃষ্ণগঙ্গা ঘাট, কালিঞ্জরেশ্বর, মহাদেব মন্দির, সোমতীৰ্থ বা বাসুদেব ঘাট, ব্ৰহ্মলোক ঘাট, ঘণ্টীভৱণ ঘাট, ধারাপতন ঘাট, সঙ্গমনতীৰ্থ ঘাট বা বৈকুণ্ঠ ঘাট, নবতীর্থ ঘাট ও অসিকুণ্ড ঘাট, আর দক্ষিণভাগে অবিমুক্ত ঘাট, বিশ্রান্তি ঘাট, প্ৰয়াগ ঘাট, কনখল ঘাট, তিন্দুক ঘাট, সূৰ্য্য ঘাট, চিন্তামণি ঘাট, ধ্রুব ঘাট, ঋষি ঘাট, মােক্ষ ঘাট, কোটি ঘাট ও বুদ্ধ ঘাট। কথিত আছে যে ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ BD BDBB DBD DDDuB DD DDBD DDDDBDD SS S S BBBBB পিতৃ-পুরুষের উদ্দেশে পিণ্ডদান করিলে যমুনা গর্ভস্থ কচ্ছপ সমূহ আসিয়া তাহা ভক্ষণ করে। যমুনাতে কচ্ছপের সংখ্যা অত্যন্ত বেশী, ইহাদের বিরাট বাপু দেখিলে ভয় করে, সুখের বিষয় এই যে যমুনা-নীরে স্নানের -