পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डब्रिड-ख्वभ । মধ্যে যে কতদূর ব্যাগ্ৰতা, তাহা যিনি কখনও কোনও তীর্থস্থানে যান নাই তাহার পক্ষে কল্পনা করা অসম্ভব। বিশ্বেশ্বরের মন্দিরের নিকটেই জ্ঞান-বাপী। “কাশীখণ্ড’ পাঠে জ্ঞাত হওয়া যায় যে, রুদ্ররূপী ঈশান ত্ৰিশূল দ্বারা এস্থানের ভূমি খনন করতঃ এই কুণ্ড নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। ইহার জল পান করিলে মূর্থিব্যক্তিও জ্ঞানলাভ করিয়া থাকে। জনপ্ৰবাদ এইরূপ যে, যখন কালাপাহাড় কাশীর দেব-মন্দিরসমূহ ধ্বংস করেন, তখন বিশ্বেশ্বর ইহার মধ্যে লুক্কায়িত ছিলেন। এখনও বহু যাত্রী এস্থানে দেবাদিদেবের পূজা করিয়া থাকে। জ্ঞান-বাপী একটা কৃপ বিশেষ ; ইহার উপরে একটী ছাদ আছে, উহা ৪০টা প্রস্তর নিৰ্ম্মিত থামের উপরে সংস্থাপিত। গোয়ালিয়ার-রাজ দৌলতরায় সিন্ধিয়ার বিধবা পত্নী বৈজবাই কর্তৃক ১৮২৮ খৃষ্টাব্দে ইহা নিৰ্ম্মিত হয় ; এই ছাদের গঠননৈপুণ্য অত্যন্ত মনােহর। জ্ঞান-বাপীর জল অত্যন্ত দুৰ্গন্ধময়। বিশ্বেশ্বরের লিঙ্গট, বানিলিঙ্গও মধ্যমাকৃতি, তিনি সর্বদাই ভক্তবৃন্দ কর্তৃক প্রদত্ত স্তুপীকৃত ফুলবেলপাতায় এতদূর আবৃত থাকেন যে, সকল সময়ে তাহাকে দেখিতেও পাওয়া যায় না। তাহার মন্দিরসন্নিকটস্থ অন্নপূর্ণার মন্দিরে দেখিলাম দেবী অন্নপূর্ণ দর্বিহস্তে দাড়াইয়া রহিয়াছেন। দেখিতে বড়ই সুন্দর! জানিনা কবে মা অন্নপূর্ণ ক্ষুধার্ড ভারতবাসীর ক্ষুধা দূর করিতে অগ্রসর হইবেন । কাশীতে এইরূপ প্ৰবাদ আছে যে, এখানে কেহই অনাহারী থাকে না। নানার তুবিভূষণা করুণাময়ী জগন্মাতার কৃপায় । দীনদুঃখী কাহাকেও অনাহারে ক্লেশ পাইতে হয় না। এই মন্দির প্রায় ১৮০ বৎসর পূর্বে পুণার মহারাষ্ট-নৃপতি কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। মন্দিরের একপার্শ্বে সপ্তাশ্মযোজিত রথের উপরে সূৰ্য্যদেবের মূৰ্ত্তি বিরাজমান। এতদ্ব্যতীত শনৈশ্চরেশ্বর, শুক্ৰেশ্বর, গৌরীশঙ্কর, গণেশ ও হনুমানের বিগ্ৰহাদিও দৃষ্ট হয়। শনৈশ্চর লিঙ্গের উৰ্দ্ধদেশ রজতমণ্ডিত এবং নিম্নাংশ পুষ্পগুচ্ছ দ্বারা আবৃত। বিশ্বেশ্বরের প্রাচীন মন্দির নষ্ট করিয়া যে স্থানে ঔরঙ্গজেব মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করেন, তাহাকে এখনাে ঔরঙ্গজেবের মসজিদ কহে। মসজিদের সম্মুখভাগে মুসলমানগণ একটী সিংহদ্বার প্রস্তুত করাইয়াছিলেন ; उोंन-सां?ी । अनशूद्र भगिद्र। কাশী-কর্বট