পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃন্দাবন। কতকাংশ ধ্বংস করেন, তাহা হইলেও ইহার কারুকাৰ্য্য এবং গঠন এত সুন্দর যে পাশ্চাত্য প্রত্নতত্ত্ববিদগণ উহার ভূয়সী প্রশংসা করিয়া থাকেন। গোপীনাথের মন্দিরই সর্বাপেক্ষা প্রাচীন, আধুনিক মন্দির সমূহের মধ্যে শেঠ রাধাকৃষ্ণ, वश्हविशौ ७ রাধাবল্লাভের মন্দির, গোবিন্দদাসের, ব্ৰহ্মচারীর ( গোয়ালিয়রের ) এবং লালা বাবুর মন্দির দেখিতে বেশ সুন্দর ও উল্লেখ যোগ্য। বৃন্দাবনের সমৃদ্ধি ভক্তি । ভারতের এমন প্ৰদেশ অতি অল্পই আছে যেখানকার কোন না কোন ধনী এ স্থানে কোনও মন্দিরাদি নিৰ্ম্মাণ করেন নাই। অধিকাংশ বঙ্গদেশবাসী বৈষ্ণবগণই জীবনের শেষ দশায় চির মধুময় বৃন্দাবনে বাস করিয়া দেহপাত করাকে চির আকাঙিক্ষত বিবেচনা করেন বলিয়াইবাঙ্গালী বৈষ্ণবের সংখ্যা এখানে খুব বেশী। শ্ৰীশ্ৰীচৈতন্যদেব বঙ্গদেশবাসী ছিলেন বলিয়া বাঙলাদেশে বৈষ্ণবের সংখ্যা যত বেশী ভারতের অন্য কোথাও তদ্রুপ পরিলক্ষিত হয় না, আর বৃন্দাবন শ্ৰীকৃষ্ণের পদ-রজ-লাঞ্ছিত বৈষ্ণব তীর্থ, কাজেই বঙ্গবাসী বৈষ্ণবগণ ও বৃন্দাবনকে চির পুণ্যময় ভূমি জ্ঞানে এখানে আসা শ্রেষ্ঠতর মোক্ষপ্ৰদ বলিয়া বিবেচনা করিয়া এস্থানে আগমন করেন । বৃন্দাবনের নামোৎপত্তি সম্বন্ধে দুইটী পৌরাণিক ইতিবৃত্ত প্ৰচলিত আছে, তাহার একটী এই যে পূর্বকালে কেদার রাজের কমলার অংশরূপিনী বৃন্দা নামে এক কন্যা ছিল। ইনি অতিশয় হরিভক্তিপরায়ণা ছিলেন, দুর্বাসা মুণি ইহাকে হরিমন্ত্র প্রদান করিলে বৃন্দা গৃহত্যাগ করিয়া বনে যাইয়া সেই হরিমন্ত্র সাধন করেন। বৃন্দার ঐকান্তিক ভক্তিপূর্ণ তপস্যায় ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ প্রীত হইয়া বর দিবার নিমিত্ত র্তাহার নিকট গমন করিলে বৃন্দা শামসুন্দরকে পতিরূপে প্রার্থনা করেন, কৃষ্ণও তথাস্তু বলিয়া বৃন্দার সহিত সেই নিৰ্জন প্রদেশে অবস্থান করেন। বৃন্দা দেবী যে স্থানে তপস্যা করিয়াছিলেন, সেস্থানই বৃন্দাবন নামে পরিচিত হইয়া আসিতেছে ; অপর সিদ্ধান্তটি এই যে, পুরাকালে কুশধ্বজ নামক রাজার বেদবতী ও তুলসী নামে ধৰ্ম্মশাস্ত্রপরায়ণ দুই কন্যা সংসারাশ্রম পরিত্যাগ করিয়া তপস্যাচরণে প্রবৃত্ত হন এবং নিজ নিজ পুণ্য প্রভাবে a外r颈孙夺喀|1 প্রাচীন ইতিবৃত্ত। 8bዯ¢