পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্থান জানাইয়া তেঁহো আদর্শন হৈতে । মূৰ্ছিত হইয়া রূপ পড়িল ভূমিতে ॥ কতক্ষণ পরে রূপ পাইলা চেতন । নিবারিতে নারে নেত্রে ধারা অনুক্ষণ ॥ শ্রীরূপ গোস্বামী কোটি সমুদ্র গভীর। প্ৰভু রহস্য জানি হইলেন স্থির। মনের উল্লাসে কহে ব্ৰজবাসিগণে । শ্ৰীগোবিন্দদেব প্ৰভু আছেন। এখানে ॥ শুনি ব্ৰজবাসী প্ৰেমে বিহবল হইলা । বালবৃদ্ধ আদি সবে গোমাটিলা আইলা । কেহাে কার প্রতি কহে সহাস্য বদনে। ] গোমাটিলা যোগপীঠ জানিনু এখনে ৷ যত্নে যোগপীঠ ভূমি খননের কালে। কৈল বলরাম আজ্ঞা দেখ মধ্যস্থলে ৷ যোগপীঠ মধ্যে প্ৰভু ব্ৰজেন্দ্ৰ নন্দন । হইল সাক্ষাৎ কোটি কন্দৰ্প মোহন ৷ শ্ৰীগোবিন্দদেবের প্রকটধ্বনি হৈতে । উল্লাসে অসংখ্য লোক ধায় চারিভিতে ৷” i এইরূপে গোস্বামী প্ৰবর রূপ, সনাতনের চেষ্টায় বৃন্দাবনের অধিকাংশ । তীৰ্থ সমূহই উদ্ধার হইয়াছিল। সে সময়ে গোপাল ভট্ট, লোকনাথ, ভূগর্ভ, বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের রঘুনাথ, নরোত্তম ঠাকুর, শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য প্রভৃতি শ্রেষ্ঠ अड्रानम्न । গৌড়ীয় পণ্ডিতগণের অবস্থানে বৃন্দাবন বৈষ্ণবতত্ত্ব শিক্ষার সৰ্বপ্ৰধান কেন্দ্ৰস্থল হইয়া উঠে । কথিত আছে যে সে সময়ে বৃন্দাবনধাম হইতে এ সকল পণ্ডিতগণের জ্ঞান-গৌরব ও বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের সারতত্ত্ব চারিদিকে বিস্তৃত হইয়া পড়িলে স্বয়ং দিল্লীশ্বর আকবর বাদশাহ ১৫৭৩ খ্ৰীষ্টাব্দে সামন্ত রাজগণে পরিবেষ্টিত হইয়া রূপ সনাতনের মুখে বৈষ্ণবধৰ্ম্মের সারিতত্ত্ব শুনিবার জন্য আগমন করিয়াছিলেন। তিনি বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের ব্যাখ্যার ও এ স্থানের অনির্বাচনীয় নৈসৰ্গিক সৌন্দৰ্য্য দর্শনে அச3 (9ዓ ՀԵՆ