পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जून्वन् । দিয়া গিয়াছেন, কাজেই প্ৰত্যেক বিগ্রহেরই কোনও অর্থাভাব নাই। - এ সমুদয় দান-কাৰ্য্যে দাতৃগণ এমন সুবন্দোবস্ত করিয়া গিয়াছেন যে, দাতৃগণের ংশধরগণও ইচ্ছা করিলে এ সকল দেবত্র ওঁ ব্ৰহ্মত্রে কোনও রূপ পরিবর্তন করিতে পারেন না । به . . . . . . . . . . . কনভ্রমণ ও দেবদর্শনই বৃন্দাবন-তীর্থের প্রধান কাৰ্য্য। পরদিন প্ৰত্যুষে আমরা নিধুবন, নিকুঞ্জবন প্রভৃতি দর্শনের জন্য বাহির হইলাম। নিধুবন, নিকুঞ্জবন প্রভৃতি বন বৃন্দাবন-সহরের মধ্যে অবস্থিত। শ্যামল পত্র-পল্লব- , পরিশোভিত, ময়ুর-কোকা-রব-মুখরিত, কোকিল-কৃজিত-কুঞ্জ-পরিবৃত এই কি সেই শ্যাম-পিয়ারীর পরম প্রিয় মধুময় নিধুবন ? এখানে দেখিবার কিছুই নাই। এখান হইতে আমরা নিকুঞ্জবন দেখিতে গমন করিলাম। এ নিকুঞ্জবনের নামে হৃদয়-মধ্যে যে মধুর রম্যাকাননের চিত্ৰ আঁকিয়া লইয়াছিলাম, দর্শনে তাহা হৃদয়ের অন্তর-প্রদেশে লজ্জায় মুখ লুকাইল । কোথায় বা সেই বিহগকলনাদিত, প্ৰফুল্ল-প্রসূন-সুষমা-সমুদ্ভাসিত, লতাবিটপীবিনিৰ্ম্মিত, দেবতারও লোভনীয়, কুঞ্জশ্রেষ্ঠ নিকুঞ্জকানন, কোথায় বা সেই ভগবান র্যাসিবর্ণিত, চিরপবিত্রতাময় মনােহর রম্যাকানন; কোথায় সেই কবি-কল্পনার শ্রেষ্ঠরত্ন, লবঙ্গলতাপরিশীলন-মালয়-সামীর-প্রবাহিত, চির-হাস্যময়, প্ৰমোদময় নিকুঞ্জ-কানন আর কোথায় এখনকার এই--সৌন্দৰ্য্য-বিহীন শোভাহীন বিচিত্রতাহীন, ঝোপের মত কেবল টগর ও কাঠমল্লিকার ক্ষুদ্র কাননী! যাহা আছে, তাহাতে দৰ্শন-যোগ্য কিছুই নাই, উহা কেবল পাণ্ডা-ঠাকুরদের নিরীহ যাত্রিগণকে প্ৰবঞ্চিত করিবার অন্যতম উপায়মাত্র। নিধুবন ও নিকুঞ্জবন প্রাচীর-বেষ্টিত ও পাণ্ডীগণের অর্থলাভের ব্যবসা-ক্ষেত্র । এই উভয় স্থানেই অসংখ্য বানর বাস করিয়া থাকে, ইহাদিগকে কুঞ্জবনের প্রহরী-স্বরূপ বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। কোনও রূপ খাদ্য দ্রব্যাদি এই হনুমানের বংশধরগণকে প্ৰদান না করিলে, তাহারা কিছুতেই দ্বার ছাড়িয়া দেয় না ; কিন্তু খাদ্য-দ্রব্যাদি দেওয়ামাত্র তাহারা নিতান্ত নিরীহ ভদ্রলোকের মত দ্বার ছাড়িয়া দিয়া দূরে সরিয়া যায়। নিধুবন ও নিকুঞ্জবনে বিশাখা-কুণ্ড ও ললিতা-কুণ্ড নামক দুইটা কুণ্ড বিদ্যমান আছে—দুই কুণ্ডই পাষাণ-সোপানযুক্ত ও নীল-সলিল-পূর্ণ। উভয় কুঞ্জেই প্রস্তর গ্রথিত সিংহাসন দেখিলাম, প্রতি রজনীতে ভক্ত বৈষ্ণবগণ পুষ্পমালায় لس(S Roo