পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} ভারত-ভ্ৰমণ। “ সকলই আছে কিন্তু সে শ্ৰীকৃষ্ণও নাই, সে শ্ৰীমতী রাধাও নাই । এখন ‘নূপুর-রব বিনীরব’, ও বংশীধ্বনি চির-স্তব্ধ। S S S S Sii S SS বৃন্দাবনে প্ৰসিদ্ধ, ধনকুবের শেঠ লছমীৰ্চাদের বিশাল কীৰ্ত্তি শ্ৰীরঙ্গাজীর : মন্দিরকেই পূর্বে আমরা ‘শেঠের মন্দির’ নামে বর্ণনা রঙ্গাজীর মন্দির। . করিয়াছি । এই মন্দির উত্তর-ভারতে নিৰ্ম্মিত হইলেও দাক্ষিণাত্যের স্থাপত্য-রীতিতেই নিৰ্ম্মিত । এই মন্দিরদ্বারা দেখিলে মনে হয় যেন বোম্বাই বা মান্দ্ৰাজের কোন দেবালয়ে আসিলাম । বৰ্ত্তমান সময়েও এখানে বহু দেবমন্দিরাদি নিৰ্ম্মিত হইতেছে, তন্মধ্যে জয়পুর-রাজের নব প্রতিষ্ঠিত দেবমন্দির, পাবনা—তাড়াসের ভূম্যধিকারী—রায় বনমালী রায় বাহাদুরের প্রতিষ্ঠিত রাধাবিনোদ-বাগ-মধ্যস্থ “রাধাবিনোদের মন্দির” বিশেষ উল্লেখ-যোগ্য। দেব-সেবার নিমিত্ত রায় বনমালী বাহাদুর বহু ভূসম্পত্তি দান করিয়াছেন। বাসায় ফিরিয়া আসিবার সময় পথে যমুনাপুলিন, বংশীবট, গোপেশ্বর শিব, ব্ৰহ্মচারীর মন্দির, রাধারমণ বিগ্রহ ও অন্যান্য বহু দেবমন্দির দর্শন করিয়া আসিলাম। পথে আসিতে আসিতে মনে হইল, —একদিন যে যমুনাপুলিনে শ্ৰীকৃষ্ণের সুমধুর বংশীরবে উতলা রাধা আকুল স্বরে ক্ৰন্দন করিয়াছিলেন, এখন কোথায় বা তাহার সেই সৌন্দৰ্য্য, আর কোথায় বা সে রাধা, আর কোথাইবা সেই মোহন-মুরলীর মধুময় তান ! আবার মনে পড়িতেছিল “যমুনাপুলিনে বসে কঁদে রাধা-বিনোদিনী, বিনে সেই কাল-শশী বঁকা শ্যাম-গুণমণি ॥” এখন সেই পুলিনের বহুদূর পর্য্যন্ত ধু ধু করে বালুকা-রাশি ! অন্যান্য বিগ্ৰহ-সমূহের মধ্যে গোকুলানন্দ, শ্ৰীশ্ৰী রাধা-দামোদর, শ্ৰীশ্ৰীশ্যামসুন্দর, ধীর-সামীর, অত্রুর ঘাট, ভাণ্ড রোড, দাবানল কুণ্ড, সিঙ্গার বট, শ্ৰীবঙ্কবিহারী প্রভৃতি অবশ্য দর্শনীয়। গোপেশ্বর মহাদেবকে বৃন্দাবন-প্ৰদক্ষিণ কালে অথবা তাহার শেষে দর্শন ও প্ৰদক্ষিণ করা একান্ত কৰ্ত্তব্য । যদি কেহ না করেন, তবে তাহার বৃন্দাবনপ্ৰদক্ষিণের সমুদয় ফল, ইনি অপহরণ করেন বলিয়া কথিত আছে। শ্ৰীকৃষ্ণ যখন রাস করেন, তখন মহাদেব গোপী-বেশে তথায় উপস্থিত ছিলেন । শ্ৰীকৃষ্ণ তাহা জানিতে পারিয়া তাহাকে গোপীশ্বর বলিয়া সম্বোধন করায় তিনি তদবধি গোপীশ্বর নামেই পরিচিত হইয়া আসি sob