পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । কুণ্ড বিদ্যমান। ভানুখোর—সূৰ্য্যকুণ্ড। পিলু একরূপ স্থানীয় ফল, রাধিকা নাকি এই ফল খাইতে বড় ভালবাসিতেন, তাই কঁাটা-চো না মানিয়া শ্ৰীকৃষ্ণ এই ফল পাড়িয়া দিতেন। কাজেই এমন সরস লীলাস্থানে এমন কুণ্ড-তীর্থ কেন না থাকিবে ? বার্ষাণাগ্রামের এক পার্শ্ব দিয়া একটী ক্ষুদ্র নদী আছে—নদীটীর নাম ত্ৰিবেণী । বৰ্মাণগ্রামের একপার্শ্বে জবটগ্রাম আর অপর দিকে নন্দগাও, জবটগ্রামে আয়ান ঘোষের বাড়ী আর নন্দগাঁওএ নন্দালয় ছিল। কংসের অত্যাচারে উৎপীড়িত হইয়া গোপরাজ গোকুল ত্যাগ করিয়া এখানেই বাসস্থাপন করেন। নন্দগাঁও এর ভিতর শ্ৰীকৃষ্ণের স্বানকুণ্ড, জলপানকুণ্ড, আচমনকুণ্ড প্রভৃতি প্রত্যেক দৈনন্দিন কাৰ্য্য ও ব্যবহারের সহিত সংশ্লিষ্ট নানারূপ তীৰ্থস্থানের উল্লেখ শোনা গেল । নন্দগাও'এর নন্দ ভবন এখন উদ্যানরূপে পরিণত । পৰ্ব্বতের উপরে একটি গোফার ভিতর নন্দ, যশোদা ও বালক কৃষ্ণের মূৰ্ত্তি আছে। পাণ্ডাজী বলিলেন, এই বালকৃষ্ণের দেহ স্পর্শ করিয়া মহাপ্ৰভু শ্ৰীচৈতন্যের ভাবসমাধি উপস্থিত হইয়াছিল। জাওটগ্রাম বা জবটগ্রামে রাধিকার বাড়ী ছিল। রাধিকার স্বামীর নাম আমরা চিরকাল শুনিয়া আসিয়াছি, আয়ান ঘোষ। কিন্তু এখানে শুনিলাম তাহার নাম অভিমনু্য ! এই তিন গ্রামের মধ্যে রাধাকৃষ্ণের বাল্যলীলা, কৈশোরলীলা ও যৌবনলীলার বহু স্থানে বহু কুণ্ড, বহু কুঞ্জ নিৰ্দিষ্ট হইয়া আছে। বর্ষাণা দেখিয়া আমরা পুনরায় মথুরায় ফিরিলাম। VO), 8