পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিলাম না। এখানে দেখিবার মধ্যে ক্ষীর-সমুদ্র নামক একটী পুকুর ও অন্যান্য কতকগুলি প্ৰাচীন মন্দির ও ধবংসাবশেষ আর দাউজীর প্রধান মন্দিরমধ্যস্থ কৃষ্ণপ্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত বলরামের বৃহৎ মূৰ্ত্তি ও গৃহের এক কোনে স্থিত। রেবতী দেবীর মূৰ্ত্তি ; এখানে শ্ৰীকৃষ্ণের মন্দিরও আছে। দাউজীতে দেখিবার বিশেষ কিছু না থাকিলেও প্রাকৃতিক শোভা-সম্পদে ইহা নিতান্ত হীন নয়। প্ৰায় ঘণ্টা তিনেক বোলা থাকিতে দাউজী পরিত্যাগ করিলাম এবং সন্ধ্যার ক্ষীণতম অন্ধকারের মধ্যেই মথুরা নগরীতে আসিয়া উপনীত হইলাম। যদিও মথুরা, বৃন্দাবন, গোকুল, মহাবিন প্রভৃতি তীৰ্থস্থল সমূহে প্রাচীন চিহ্ন বিশেষ বিদ্যমান নাই, তথাপি স্থান মাহত্যুে ও অতীতের মধুর স্মৃতির কবিত্বপূর্ণ কাহিনীতে দর্শকের চিত্ত এক মোহময় স্বপ্ন আবরণে এমনি আবৃত করিয়া তোলে যে তাহাকে আর কোন বিষয়ই ভাবিতে দেয় না । একথাও ঠিক যে সুদূর অতীতের উজ্জ্বল দৃশ্যের ছবি বহু ঝড়-ঝঞ্জার পরেও বৰ্ত্তমানে তেমনি সুন্দর দেখার আশা অসম্ভব ও বাতুল কল্পনা ব্যতীত আর কিছুই নহে। VOSS