পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Voss-tae দেখায়। যমুনার শীতল শীকার-সিক্ত সমীরণ এখানে আসিয়া ক্লান্ত পথিকের তপ্ত ললাটে শীতলকর স্পর্শ করিয়া যায়। যমুনা শ্বেত সৈকতের মধ্য দিয়া বক্রগতিতে ধীরে বহিয়া চলিয়াছে। তীরে উদাস সৌন্দৰ্য্যের সবুজছবি। পার্বত্য পথের ন্যায় উচু নীচু পথ ঘাট। সেই সকল পথে কৰ্ম্মব্যস্ত নরনারীর দলে-দলে গতায়াত এই উচ্চ স্থান হইতে যেন উৎসব-যাত্রার ন্যায় সুন্দর ও মনোহর দেখায়। আমরা এখানে বসিয়া অনেক্ষণ এই শোভা দেখিয়া পরিতৃপ্ত হইলাম। তৎপরে মহাদেবাজীর মন্দির ও জুমা মসজিদ দর্শন করিতে গেলাম। মহাদেবাজীর মন্দিরটি প্ৰায় ১৫০ শত বৎসর পূর্বে জনৈক অর্থশালী বণিকের অর্থব্যয়ে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। একটী উচ্চ স্মৃত্তিকা স্তুপের উপর মন্দিরটি বিরাজিত। জুমা মসজিদটিতে তেমন উল্লেখ যোগ্য কিছুই নাই, তবে শুনিলাম, উহা কোন প্ৰাচীন হিন্দু-মন্দিরের ংস ভিত্তির উপর নিৰ্ম্মিত। মসজিদটি মন্দির অপেক্ষা প্ৰাচীন ;-উহার প্ৰাঙ্গণের চতুর্দিকে বহু সমাধি বিদ্যমান। এটােয় একটী দ্বিতীয় শ্রেণীর জেলা। মৈনপুরী সহর হইতে জজ । সাহেব তিন মাস পর দায়রায় বিচারাদি করিতে আসিয়া থাকেন। ম্যাজিষ্ট্রেট প্রভৃতি অন্যান্য কৰ্ম্মচারিগণ অন্য জেলার মতই আছে। এটোয়ার খাল দেখিতে তাদৃশ সুন্দর না হইলেও ইহার জল অত্যন্ত নিৰ্ম্মল ও পরিষ্কার। রাজপথগুলি বড়ই পরিষ্কার ও জনতাহীন । নীরবে শান্তির কোলে বাস করিতে হইলে এবং নগর ও পল্লীর একত্র সমাবেশের সৌন্দৰ্য্য হৃদয়ঙ্গম করিতে হইলে এটোয় বড়ই গ্ৰীতিপদ । এখানে হিউমফুল নামক একটী উচ্চশ্রেণীর বিদ্যালয়, তহসিল কাছারী এবং চিকিৎসালয় প্ৰভৃতি আছে। স্থানীয় মিউনিসিপাল উদ্যানটি বেশ মনোরম, কিন্তু উহার মধ্যে শ্বেতাঙ্গ পুরুষ ও স্ত্রীগণ ব্যতীত অপরের প্রবেশ নিষেধ। এদেশের পুরুষগণ ধুতি, পায়জামা, চাপকন ও চোগা পরে, আর স্ত্রীলোকেরা ঘাগর, আঙ্গরাখা ও চাদর ব্যবহার করিয়া সৌন্দৰ্য্য বৃদ্ধি করে। বলা বাহুল্য যে পুরুষেরা প্ৰত্যেকেই টুপি মাথায় দেয়। স্ত্রীলোকদের মধ্যে খড়ম ব্যবহার করিতেও দেখিয়াছি। এদেশের স্ত্রীলোকেরা বড়ই অলঙ্কার 可究颈颈夺叫11