পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । দরজা খোলে ও বন্ধ হয়। কপাট জোড়াট ৩০০ শত বৎসরের পুরাতন, কিন্তু আজিও কালের সর্দচুর্ণকর দণ্ডাঘাতে ইহার কোন ক্ষতি করিতে পারে নাই। খসরুবাগের প্রাচীন আমগাছ গুলি অতি বিখ্যাত । ইহার ফল আবার সহরে বিশেষ আদরে উচ্চ দরে বিক্রীত হয়। ইতার মধ্যে একটা গোলোকধাঁধা আছে। সন্ধ্যার অন্ধকার যখন চারিদিক আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিল, তখন আমরা এ স্থান পরিত্যাগ করিলাম। হৃদয়ে একটা নৈরাশ্যের ছায়া জানিনা কেন অজ্ঞাত ভাবে আমাদের হৃদয় আচছন্ন করিয়া ফেলিয়াছিল । সমাধি ও শ্মশান ভূমি দর্শন করিলে অন্তর মধ্যে যে গভীর দীর্ঘ নিশ্বাস জাগিয়া ওঠে তাহা সহজে দূর হয় না। উচ্চ বিটপীশ্রেণী-পরিশোভিত, ছায়া-শীতল, নীরব স্থলে অশরীরি আত্মা বুঝি এখনও ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। বাতাসের সর সর শব্দে—পাতার কম্পনে যেন তাহারই নিশ্বাস, তাহারই গতি স্মরণ করাইয়া দিতেছে। যে যায় সে আর ফিরিয়া আসেনা কেন ? যে ফুল ঝরিয়া যায় সে আর ফোটেন কেন । যে গান থামে- সে গান আর ঝঙ্কত হয় না কেন ? যে প্রেমের স্বপ্ন, সোহাগে মিলাইয়া যায়, তাহ আর জাগেনা কেন ? কে জানে বিধাতার একি এক অদ্ভুত নিয়ম ! “মধু নিশি পূর্ণিমার, ফিরে আসে বারেবার সে জন ফিরে না। আর যে গেছে চলে ।” श्रुङ्ग-ड्रभि कि श् ष्ट्र !- श्ड्रा ड्रभि कि डोभ१–श्ड्रा ड्रभि कि ताश्क ! মৃত্যু তুমি কি পুণ্য সংস্থাপক, অজ্ঞ আমরা বুঝি না। তাই কঁাদি। হায় এ সংসারে এমন কে ত্রিকালীদর্শী মহাপুরুষ আছেন যিনি বলিতে পারেন “কোথা হতে আসে। ঘন সুগন্ধ, কোথা হতে বায়ু বহে আনন্দ, চিন্তা ত্যাজিয়া পরাণ অন্ধ মৃত্যুর মুখে ছুটে ! ক্ষ্যাপার মতন কেন এ জীবন ? অর্থ কি তার, কোথা এ ভ্ৰমণ ?