পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

95-ase মুলাংশ দেখা যায়, তাহার পার্শ্বে প্রাচীরগাত্ৰ হইতে জল ঝরিতেছে দেখা যায়। পাণ্ডারা ইহাকেই সরস্বতীর লুপ্তধারা বলিয়া ত্ৰিবেণী-সঙ্গমের ত্রিত্ব বজায় রাখিয়া দেয়। ফলে উহা বহির্দেশস্থ যমুনারই জল ; চুয়াইয়া ভিতরে পড়িতেছে এই মাত্র । অক্ষয় বটের পার্শ্বে যে প্ৰাচীন শিবমন্দির ছিল, সেই মন্দিরের গর্ভগৃহ ও ‘মোহন” (নাটমন্দির) এখনও এই ভূ-গর্ভে বৰ্ত্তমান। শিবলিঙ্গও আছেন—সঙ্গে সঙ্গে এখানে আরও অনেক দেবতার আশ্রয় হইয়াছে। এখানকার থামগুলি কারুকাৰ্য্য বিশিষ্ট নহে। দেখিলে মনে হয়, উপরের মৃত্তিকার ছাদ ধরিয়া রাখিবার জন্য এই থামগুলি স্থাপিত । দুৰ্গকোণে এলাহাবাদের পূর্ণ সৌন্দৰ্য উপভোগ করিতে লাগিলাম। এখান হইতে ভাগীরথীর অপর তীরে প্রাচীন প্রতিষ্ঠানপুর ও বর্তমান ঝুসি দেখা যাইতেছে—দূরে যমুনার পারে রামায়ণ প্রণেতা স্থবিখ্যাত হিন্দী কবি তুলসীদাসের আশ্রম নিকেতন দর্শন করিলাম। দুৰ্গকোণ হইতে আমরা কিয়দ্দূর অগ্রসর হইয়া একটা সুবৃহৎ প্ৰস্তরনিৰ্ম্মিত দীর্ঘ অট্টালিকার সম্মুখে উপস্থিত হইলাম। এই অট্টালিকার একাংশে ২৭২ ফুট দীর্ঘ একটি হল আছে, বৰ্ত্তমান সময়ে ইহা অস্ত্রাগারে পরিণত হইয়াছে। পূর্বে উহাই আকবরের উপবেশন গৃহ ছিল। এই অট্টালিকা ও এই গৃহ প্ৰাচীন হিন্দুপ্রাসাদের ভগ্নাবশেষ বলিয়া প্ৰসিদ্ধ। স্থাপত্য-কৌশলে নাকি তাহার প্রমাণ বৰ্ত্তমান আছে । কমেণ্ডারইনচিফের অনুমতি ব্যতীত এই অট্টালিকায় প্ৰবেশ নিষেধ কাজেই আমাদের দেখা ঘটিল না । প্ৰধান দুৰ্গদ্বারের অনতিদূরে ‘অশোকস্তস্ত’ বা অশোক লাট অবস্থিত। স্তস্তটা উচ্চে ৪২ ফুট-৭ ইঞ্চি।। ধীশুখ্ৰীষ্টের জন্মের ২৪০ বৎসর পূর্বে নিৰ্ম্মিত ও মহারাজ অশোক কর্তৃক প্ৰতিষ্ঠাপিত হয়। এই স্তম্ভের গাত্রে সম্রাট অশোক ও সমুদ্র গুপ্তের খোদিত লিপি আছে, অপর একপৃষ্ঠে ১৬০৫ খ্ৰীষ্টাব্দে সম্রাটু জাহাঙ্গীর আত্ম সম্পর্কিত কতকগুলি বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছেন । যে অশোক একদিন স্বীয় নির্দয় ৰ্যবহারের জন্য ‘চণ্ডাশোক’ নামে অভিহিত হইয়াছিলেন, পরে তিনিই আবার স্বীয় ব্যবহার গুণে ধৰ্ম্মের পবিত্র পুণ্যস্পর্শে দেশে स्रgश्लोक ठान्ने । SESSR