পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। फूनांब्र । আমরা একটা সুস্পষ্ট ভৌগলিক প্ৰমাণ পাইয়াছি। পাহাড়টির উচ্চতা কুলের দিকেই বেশী, আনুমানিক দুই শত ফুট হইবে। সহরে প্রবেশ করিয়াই সর্বাগ্রে দুর্গ দেখিবার বাসনা প্ৰবল হইল, কিন্তু তহশীলদারের ‘ছাড়’ না পাইলে দেখিতে পাওয়া যায় না জানিয়া, তাহ পাইবার বন্দোবস্ত করিয়া দিয়া আমরা নগর দেখিতে গেলাম। দুর্গ হইতে একমাইল দূরে দক্ষিণ পশ্চিমে শাহ কাসেম সুলেমান নামক জনৈক ফকীরের সমাধিস্থান অবস্থিত। এই সমাধি-মন্দিরটির গঠন-কৌশল ও কারুকাৰ্য্য অতি উৎকৃষ্ট এবং মনোহর। এমন কি প্ৰবাদ এইরূপ যে এই সমাধিমন্দির দেখিয়াই শাহজাহার তাজমহল নিৰ্ম্মাণের বাসনা জাগিয়া উঠে এবং তাজমহলের আকারের কল্পনাও ইহারই আকার অনুসারেই করিয়াছিলেন । ফকীরের তীর্থস্থান পেশাবরে। বৈরাগ্য অবলম্বন করিয়া তিনি নানাদেশে ঘুরিতে-ঘুরিতে এখানে আসিয়া আস্তানা করেন ; সম্রাট জাহঁাগীর এক সময়ে তাহার প্রতি বিরক্ত হইয়ার্তাহাকে বধ করিবার আদেশ দেন। যখন তাঁহাকে লৌহ-শৃঙ্খলে বন্ধন করিয়া লইয়া যাওয়া হয় তখন সন্ধ্যার নামাজের সময়,--তিনি উপাসনার জন্য সময় প্রার্থনা করেন এবং উপাসনা কালে লৌহ-শৃঙ্খলের বন্ধন আপনা হইতে খুলিয়া যায়। এইরূপে কয়েকদিনেই তাহাকে বন্ধন করা হয় এবং উপাসনকালে তাহার বন্ধন খসিয়া পড়ে । সম্রাট এই সংবাদ পাইয়া ভঁাহাকে যাবজ্জীবন চুনার দুর্গে বন্দী করিয়া রাখিবার আদেশ দেন। এখানে তাহার অনেক শিষ্য হয় । কালক্রমে পরে যখন আসন্নকাল উপস্থিত হইল, তখন শিষ্যবৰ্গকে ডাকিয়া কাসেম বলেন, অমুক দিনে অমুক সময়ে আমি মরিব । তৎপরে দুর্গ হইতে তিনি সকলের সম্মুখে জঙ্গলের দিকে একটী তীর নিক্ষেপ করিয়া বলিলেন, “এই তীর যেখানে পড়িবে, সেই খানে আমার কবর দিবে।” ইতিমধ্যে নিক্ষিপ্ত তীরটিকে দুর্গের প্রাচীরের নিকটে পড়িতে দেখিয়া তিনি ব্যস্ত হইয়া বলিলেন—“টুক-আউর” ফকিরের এই কথায় পতিত তীর আবার উৰ্দ্ধমুখে উঠিয়া বৰ্ত্তমান সমাধি স্থানে পড়িল। সেই নির্দেশ অনুসারে ফকীর কাসেম সুলেমান এই স্থানে সমাহিত হইয়াছেন। DDDB BB SiDSDDBD S DB Bu SuBD DBDBS BDD DBDBB S 8V OG) rिकोब्र भश्म ।