পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । ১৮১৭—১৮ খ্ৰীষ্টাব্দে মারহাট্ট রাজদ্রোহীদলের নায়করূপে ত্ৰ্যম্বকৰ্মজী দঙ্গলিয়া এই কারাগারে প্রথম কয়েদীরাপে অবস্থান করেন । দুর্গের সৌধমালা দেখিয়া আমরা মহারাষ্ট্র বীর ত্রম্ব্যক জীী যে অন্ধকারাচ্ছন্ন গারদে আবদ্ধ ছিলেন তাহা দেখিতে গেলাম । সে গৃহ দেখিয়া আমরা শিহরিয়া উঠিলাম। এই গারদ অত্যন্ত ভাষণ, দুই তিনটী ছিদ্র পথ ব্যতীত ইহাতে আলো প্ৰবেশের পর্য্যন্ত অন্য কোনও পথ নাই--- বাতাসের প্রবেশ পথ উহাই । দুর্গের ভিতর জলের ব্যবস্থা কিছুই নাই, গঙ্গাজলই প্ৰধান পানীয়। এক সময়ে যে দুর্গাভ্যন্তরে পানীয় সংগ্রহের নিমিত্ত উহার দক্ষিণ পার্শ্বে একটা কৃপ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল—তাহার চিহ্ন এখনও বিদ্যমান আছে—ঐ কূপের এখন অন্তিম দশা-উহার বৃত্তাকার দাগের পরিমাণ ১৫ ফিট । দুর্গের এই অংশ হইতে চুনার সহরের সৌন্দৰ্য্য অতুলনীয়। চুনার সহরের বাড়ী ঘর-দূৱস্থিত নীল গিরি শ্রেণী, গঙ্গার বক্ৰগতি প্ৰতি মুহুর্তেই হৃদয়-পটে এক অভিনব দৃশ্য আঁকিয়া দিতেছিল। গঙ্গার বক্রগতি বড়ই মনোহর-—তীরে শ্যামল তৃণরাজি বিস্তৃত, তার পরে শ্বেত সৈকত মধ্যে মধুর-নাদিনী—বিষ্ণুপদ-—রজবাহিনী গঙ্গা বহিয়া বহিয়া চলিয়াছেন । অতঃপর আমরা ‘ভৰ্ত্তরি চবুতারা” অর্থাৎ ভর্তুহরির সমাধি দেখিতে গেলাম। একটা বৃহৎ অশ্বথ, বৃক্ষের তলায় একটি নাট-মন্দিরের ন্যায় দালানের মধ্যে একখণ্ড কৃষ্ণবৰ্ণ মৰ্ম্মর প্রস্তর স্থাপিত আছে। উহা পুষ্পারাশি ও সিন্দুর দ্বারা পূজিত হয়। কথিত আছে যে ভৰ্ত্তহরি পাথরের উপর বসিয়া কঠোর সাধনায় জীবনাতিবাহিত করিয়াছিলেন। র্তাহার সাধনায় তুষ্ট হইয় বারাণসী-পতি বিশ্বনাথ এখানে আসিয়া নাকি দিনের মধ্যে নয় ঘণ্টা বসতি করেন এবং পরে কাশীতে ফিরিয়া যান। আমাদের প্রদর্শক ও ঐ কৃষ্ণ প্ৰস্তর-খণ্ডকে ‘হরমঙ্গল’ নামে অভিহিত করিলেন। চুনারের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে এই পর্দতে গদাপাহাড় “কদমরসুল’ আর দুইটী প্ৰসিদ্ধ স্থান। গদাপাহাড় এই পাহাড়ের এখন নাম গদাই পাহাড় কারণ জনৈক ফকীরের সমাধিও এই পৰ্দাবতে আছে।--ফকীরের কবরের চতুষ্পার্শ্বে হস্ত ঘর্ষণ করিলে ख्ढुंश्ब्रिख्न मभाथि ।