পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । মনোরম। এখানে সমস্তই পাথরের, কুটীরগুলিরও কাহারও প্রস্তর তোরণ, কাহারও প্রস্তর স্তম্ভ বা কাহারও মেঝের প্রস্তরের আস্তরণ। নদীতীরস্থ কথা ছাড়িয়া দিলেও নগর মধ্যেও অনেক সুদৃশ্য মন্দির ও মসজিদ আছে। এই সকল শিল্পের ভাস্কর অধিকাংশই হিন্দু, সহরের মধ্যে বাজারের bकि একটা দেখিবার বিষয়। শিল্পকাৰ্য্য খচিত সুদৃশ্য স্তম্ভ তোরণাদি-শোভিত। প্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত দোকান ঘরগুলির সুবিন্যাস বড়ই বিস্ময় ও আনন্দ উৎপাদন করে। চকের বাজারে গালিচা, পিন্ডলের বাসন ও কম্বল বিস্তর পাওয়া যায় এবং অতি উৎকৃষ্ট ও সুদৃশ্য । এতদ্ভিন্ন এই সহর তুলা ও গালার রপ্তানী ব্যাপারে প্রসিদ্ধ। এই নগর নানাবিধ ফল, নানাবিধ শস্য, নানাবিধ ধাতু, তামাকু, চিনি, লবণ, কাপড় ইত্যাদির একটি প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র। কাশীর ন্যায়। ইওরোপীয় সওদাগরের কোন আফিস এখানে नाझे,-शवJांत्रिी ক্ৰয়ের জন্য কলিকাতার অনেক হোসের এজেণ্ট বা গোমস্ত আছে। এখানে মিউনিসিপ্যালিটি ও দাতব্য ঔষধালয় ( ইংরাজী ) আছে। পূর্বে এখানকার বাণিজ্য বহু বিস্তৃত ছিল কিন্তু রেল দ্বারা বোম্বাই এর সহিত জব্বলপুরের যোগ হওয়ায় কানপুরের বাণিজ্য ব্যাপার বড়ই বাড়িয়া গিয়াছে এবং এখানে মন্দা পড়িয়াছে । এখানে জল বায়ু স্বাস্থ্যকর হইলে ও গ্রীষ্মাবাসের পক্ষে সুবিধাজনক নহে, কারণ পাৰ্বত্য প্রদেশ ও বনরাজি সমাকুল বলিয়া অতি গ্রীষ্ম ও অতি বৃষ্টিতে ঐ সময়ে অপর দেশীয় লোকের তিষ্ঠান কষ্টকর হয়। এই নগরের মধ্য দিয়া যেমন গ্র্যাণ্ড টাঙ্ক রোড দিল্লীর দিকে গিয়াছে, তেমনি দাক্ষিণাত্যে যাইবার বাদশাহী সড়ক ও দক্ষিণে চলিয়া গিয়াছে। বিন্ধ্য পর্বতের তারঘাট নামক গিরিবত্বের মধ্য দিয়া এই পথ বিস্তৃত। মীৰ্জাপুরের নিম্নে গঙ্গা বড় শান্ত কিন্তু প্ৰবল-তরঙ্গময়ী। বর্ষাকালেও মায়ের বন্যায় কোন উপদ্রব এ দেশে হয় না। মিউনিসিপ্যালিটি সেই একঘেয়ে রকমের, রাজপথ-ধূলি কঙ্কর পূর্ণ, দুই ধারে সারি সারি দোকান, পথের ধারে আবৰ্জনার স্তুপ ও কৃপাদির নিকটে পঙ্কিল পয়ঃনালা এমন সুদৃশ্য সহরের পক্ষে কেমন অশোভন বোধ হইতে লাগিল । মীর্জাপুরের গঙ্গার তীর হইতে নানাদেশের নানা জাতিয় বাণিজ্য দ্রব্যাদি পরিপূর্ণ তরীশ্রেণী দেখিলে সত্য সত্যই হৃদয়ে আনন্দ হয়। ইংরাজ · ©ዓe