পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ। পর্বত গর্ভে ভিখারীর অভাব দেখিলাম না অথবা বিশ্বজননীর দ্বারে মায়ের হতভাগ্য সন্তানেরা আসিয়া কঁাদিয়া, ভিক্ষা করিয়া কৰ্ম্মের মহিমা জানাইতেছে, কৰ্ম্মফলের অবশ্য ভোগ দেখাইতেছে এবং জগজ্জননীর কৃপাতেই যে এই গভীর বনেও যাত্রী সমাগম হইয়া তাহদের অন্ন সমাগম হইতেছে তাহাও বুঝাইয়া দিতেছে। মালিনীরা মৃৎপাত্রে গঙ্গাজল, পাতার দোনায় ফুল, বিল্লপত্র, দুর্বা, তিল, যব, (চাউল নাই) এবং সাগুদানার ন্যায় চিনির দানা বেচিতেছে। দুই পয়সায় সমস্ত পাওয়া যায়। দেবীমন্দির হাতে গড়া নহে। একটি পর্বতচূড়া চাঁচিয়া ছুলিয়া মন্দিরাকার করা হইয়াছে। তাহারই মধ্যে পাথর খুন্দিয়া গহবর করা হইয়াছে। গহবরের উচ্চতা বড় অল্প, মধ্যাকারের বামন ব্যক্তিও সোজা হইয়া দাঁড়াইতে পারে না । উচ্চতার তুলনায় গহবরের প্রশস্ততা বেশী। ২০ জন লোক তন্মধ্যে বসিয়া স্বচ্ছন্দে পূজা পাঠ করিতে পারে। মন্দিরের এক ভিত্তিগাত্রে এক প্রশস্ত কুলঙ্গীতে দেবী বিরাজিতা । দেবীর অষ্টভুজ মহিষমৰ্দিনী মূৰ্ত্তি, কিন্তু পাথরের টালির গায়ে পাথর চাঁচিয়া গড়া। প্ৰতিমা ক্ষুদ্র । ভক্তের অঞ্জলি প্ৰদত্ত পুষ্পাদি ভিন্ন মায়ের আর কোন ভূষণ নাই, সিন্দুর ভিন্ন অন্য অঙ্গরাগ নাই এবং যাত্রী প্রদত্ত মৃত দীপ ও কপূর দীপ ব্যতীত আর কোন বিলাস নাই। মন্দির তল পরিস্কার,—প্রতিদিন যাত্রী অল্প না হইলেও ফুলে, পাতার জলে মন্দিরতল পরিব্যাপ্ত নহে। পাথরের মেজে বেশ শুষ্ক। মেজেতে বসিয়া অনেকে চণ্ডীপাঠ করিতেছেন,-একজন পড়িলেন, —“মহিষাসুরনির্ণাদি বিধাত্রী বরদে নমঃ !” অমনি স্মরণ হইল,-- এই বিন্ধ্য পর্বতই মায়ের আমার সেই লীলাভূমি -এই পর্বত গাত্রেই মহিষাসুরের ক্ষুরের আঘাতে অগ্নি উৎপাদন করিয়াছিল,—এই স্থানে মা নগেন্দ্রনন্দিনী মহিষমৰ্দ্দিনী হইয়াছিলেন,—এই পৰ্ব্বতেই মা কৌষিকীর হুহুঙ্কারে শুস্ত নিশুম্ভ হত হইয়াছিল -কে জানে এই মন্দির সেই সকল লীলাস্থলের কোনটির স্মৃতি নিদর্শন কি না ?—আবার মনে হইল, ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের ব্রজলীলার সূত্রপাতে মহামায়া কংসহস্ত পরিভ্রষ্টা হইয়া অষ্টভূজা মূৰ্ত্তিতে বিন্ধ্যাচলে অধিষ্ঠান করিয়াছিলেন। এখন বৰ্ত্তমানে আমরা এই যে भनिद्र आनिग्रा मँड्रिॉइंग्राझेि शेश भाप्द्र आंभांद्र ८कांन् गौगांब्र মূৰ্ত্তি :- vo(IV. i