পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- বিন্ধ্যাচল। তাই আর এই প্রায় ১৫০ ফুট উচ্চ পাহাড়ে কৌতুহল হইলেও সিঁড়ি বাহিয়া উঠিতে আগ্ৰহ করিলাম না। শুনিলাম উহারই উপর শুন্ত, নিশুম্ভের রণভূমি। পশ্চাতের সোজা পাহাড়ের একটী ফাটল দিয়া বিন্দু বিন্দু জল চুয়াইতেছে আর তাহা নিম্নে একটী ৬ ইঞ্চি গভীর ২ ফুট লম্বা ১ ফুট চওড়া কুণ্ডে সঞ্চিত হইতেছে। এই কুণ্ডের সম্মুখে বিস্তৃত চত্বর, পাথরের টালি দিয়া বাঁধান। এই কুণ্ডে ছোট ঘটি ডুবাইয়া যত ইচ্ছা জল তুলিয়া লও কুণ্ড কখন খালি হইবে না বা ছাপাইয়া উঠিবে না। অতিরিক্ত জল কুণ্ডের অন্তরস্থ শিরাদ্বারা বহিয়া কিছু নিম্নে নর্দামার জলের ন্যায় ঝরে ঝর করিয়া পড়িতেছে ও সেই জল গঙ্গায় গিয়া মিশিতেছে। এই সীতাকুণ্ডের জল অতি স্বাদু, সুশীতল এবং স্বাস্থ্যকর । বিন্ধ্যাচল ও মীৰ্জাপুর হইতে অনেকে এই জল পানাৰ্থ লইয়া গিয়া থাকেন । এই জলে আমরা সুসানাদি করিলাম । কুণ্ডে অবগাহন করা চলে না, সঙ্গে মৃৎ-কলস ছিল, তাহা ভরিয়া ভরিয়া একে একে সকলেই স্নান করিলাম, ক্ষুধা যথেষ্ট পাইয়াছিল। তবু ক্ষুধা বৃদ্ধির জন্য কেবল জলই কতকটা খাওয়া গেল। এই সীতাকুণ্ডের পাশ্বে একটা গাছের পাতায় স্বভাবতঃ রামনাম লেখা জন্মায় শুনিয়া দেখিতে গেলাম কিন্তু, পাতার সে দাগ হইতে “রাম’ কেন কোন অক্ষরই—না “বাঙ্গুলা” না ‘নাগরি’ বাহির করিতে পারিলাম। --গাইড আমাদিগকে, অবিশ্বাসী মুর্থ বলিয়া চুপ করিল। সীতাকুণ্ডের ঝরণার একটু নিম্নে একটী ধ্বংসাবশিষ্ট কুটিরের আদরা আছে। গাইড উহাকে সীতাদেবীর রন্ধনশালা বলিয়া পরিচয় দিলেন । আমরা দেখিলাম উহা কোন সন্ন্যাসীর কিয়দিবসের আশ্ৰয় স্থান, আপাততঃ পরিত্যক্ত ও ক্রমশঃ বিলুপ্ত হইতেছে। সীতাকুণ্ডে কোন পাণ্ডা নাই কেবল ব্ৰহ্মকুণ্ডের ন্যায় এক রমণী আছে, তাহার আশাও তদনুরূপ। স্নানাদির পর আমরা সীতাকুণ্ড পাহাড় হইতে নামিয়া সমতল রাস্তা দিয়া ঘুরিয়া প্রায় অৰ্দ্ধ ঘণ্টা হাটিবার পর ধৰ্ম্মশালার দ্বারে আমাদের এক গুলিকে দেখিলাম। তৎপরে উদর জ্বালায় জ্বলিত হইয়া অশ্ব পৃষ্ঠে তীব্ৰ কষাঘাতের ব্যবস্থা করিয়া রণভূমি ত্যাগ করিলাম। শুনিলাম শুম্ভ নিশুম্ভের VGs