পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9.SS-N হাত পাতিয়া গ্ৰহণ করিতেছেন। মন্দিরটি বড় পুরাতন নহে। রামগয়া ফন্তুর বাম তীরে। আর ঠিক উহার বিপরীত দিকে নদীর দক্ষিণকুলে গয়৷ সহরের মধ্যে বিষ্ণুপাদ মন্দির। ইহাই গয়াতীর্থের সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান। এই মন্দির খুব সৌন্দৰ্য্য সম্পন্ন, সর্দর্বাঙ্গ কৃষ্ণ প্ৰস্তর দ্বারা গঠিত, উপরের চূড়াটি সোনার পাতে মণ্ডিত। মন্দির সম্মুখেই সুপ্ৰশস্ত নাট-মন্দির ইহা কলিকাতার রাজা রাধাকান্ত দেবের প্রস্তুত । বৰ্ত্তমান মন্দিরটি রাজ্ঞী অহল্যাবাইয়ের অপর কীৰ্ত্তি । মন্দির মধ্যে প্ৰায় ১৩ × ৬ ফুট একখানা বিস্তৃত প্ৰস্তর ফলকের উপর রৌপ্য নিৰ্ম্মিত ষোড়শ কোণ বিশিষ্ট একটী কুণ্ড মধ্যে বিষ্ণু-পাদ-পদ্ম অবস্থিৰ্ত । এই কুণ্ডমধ্যে একখানি কুৰ্ম্মপৃষ্ঠবৎ বন্ধুর শিলাখণ্ডে একখানি/পদাঙ্ক இts ஒ7% এখন আর সহজে লক্ষ্য হয় না, দুগ্ধ ঢালিয়া κία পায়ের আকৃতি বেশ সুস্পষ্ট হইয়া উঠে। কৰ্দমে পা বসিয়া/গেলে যেভাবে পদাঙ্ক বসিয়া যায়—এই পদাঙ্কও তদ্রুপ। পদাঙ্কে বিষ্ণুপদের শাস্ত্রোক্ত ধ্বজবজ কুশাদি লাঞ্ছনগুলি এখন পাণ্ডার কথায় अश्न ও ভক্তির সাহায্যে মিলাইয়া দেখিতে হয়। অনবরত পিণ্ড, ফ্ৰন্থদক, দুগ্ধ ও পুষ্প, তুলসীপাতে ও অবিরত মাৰ্জ্জনের বলে ঐসকল চিহ্ন ক্রমশঃ অস্পষ্ট হইয়া উঠিতেছে। কথিত আছে। এই পদাঙ্কযুক্ত পাথরখানি গয়াসুরের মাথায় স্থাপিত। পুরাণানুসারে এই শিলাখানি মরীচি ঋষির পত্নী ধৰ্ম্মব্রতার দেহ বলিয়া কথিত আছে। গয়াসুর ও ধৰ্ম্মব্রতার উপাখ্যান গয়ামাহাত্ত্বো অতি বিস্তৃতভাবে কীৰ্ত্তিত আছে । w গয়ার তামাক, কষ্টিপাথরের জিনিষ দেশবিদেশে বিখ্যাত। এখানকার পয়সার নাম ঢেবুয়া, পয়সাগুলি লৌহখণ্ডের উপর তাম্র দিয়া নিৰ্ম্মিত, উহার পাঁচটীতে আমাদের এক আনা হয়। গয়া জেলার গয়াই প্ৰধান নগর,--নগরের লোক সংখ্যা ৮০,৩৮৩ । এ জেলায় ছোট ছোট অনেক পাহাড় আছে তন্মধ্যে মাহের পাহাড় সৰ্পবাপেক্ষা বৃহৎ । উহা সমুদ্রগর্ভ হইতে প্রায় ১৬২০ ফুট উচ্চ হইবে । গয়া নগর হইতে ইহার দূরত্ব ৬ ক্রোশ । এ জেলায় ধাস্য, যব, গম, কোদো, ছোলা, মটর, খেসারি, কলাই, শণ, পাট, তুলা, সর্ষপ, অহিফেন, নীল, ইক্ষু, পান, আলু যথেষ্ট Sy"8