পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশী । ፳ ነ . পরিণাম, – কোথায় প্ৰাণ-প্ৰিয়তমা পত্নী-কোথায় প্ৰাণের নন্দন রোহিতাশ্ব, -- কোথায় রাজৈশ্বৰ্য্য – আর কোথায় তিনি আজ কাদন্ন ভোজনে মৃতের কম্বলাহরণে দিন কাটাইতেছেন । সহসা পুত্ৰ-শোকাতুরা রমণীর করুণাক্রান্দনে সে শ্মশানঘাট প্ৰতিধ্বনিত হইল ; হায় ! হায় ! এমন ভীষণা তামসী নিশীথে রাজরাণী শৈব্যা সর্পদষ্ট মৃতপুত্র রোহিতাশ্বের সৎকার করিবার জন্য আসিয়াছেন ! কি ভীষণ দৃশ্য ! প্রাচীনযুগের সে শোক-স্মৃতি হৃদয়ে আন্দোলিত হইতেছিল, আমি যেন অদূরস্থিত শ্মশান হইতে পুত্রহারা রমণীর করুণ আৰ্ত্তনাদ শুনিতেছিলাম, “হা পুত্ৰ---আমার সোণার রোহিতাশ্ব -- কোথায় গেলি বাছা ? এই না ছুটে ছুটে খেলছিলি ?”L* সে আজ কতদিনের কথা, এই পুণ্যশ্লোক মহাত্মা ও অতুল ধৈৰ্য্যশালিনী পতিসেবাপরায়ণা রাণী শৈবা জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন,-কিন্তু এখনও সে কীৰ্ত্তিকাহিনী ভারতের নরনারী অতুল আগ্রহের সহিত শোনে ও পুত্ৰশোকাতুরা রমণীগণ শৈব্যার সেই শোকা শ্রীর সহিত –আপনাদের ব্যথিত নয়ন-জল মিশায়। যতদিন পৃথিবী থাকিবে-যতদিন চন্দ্ৰ-সূৰ্য্য থাকিবে-—ততদিন পৰ্য্যন্ত এই কীৰ্ত্তি-গৌরব-কাহিনী মুছিবে না ! সেই নিশীথে নীরবে দাড়াইয়া জাহ্নবীর কলকলধ্বনির সহিত শুনিতেছিলাম “ধন্য রাজা হরিশচন্দ্ৰ !”—এমন সময়ে সঙ্গী ডাকিলেন “বাসায় যাইবেন না ?” আমার চেতনা ফিরিয়া আসিল, -তখন মন্দিরে মন্দিরে আরতির ধ্বনি থামিয়া গিয়াছে –আকাশে তারাকুল নিৰ্ণিমেষনয়নে তেমনি চাহিয়া আছে! কেদারেশ্বর দেবের মন্দির হইতে উত্তরপশ্চিমদিকে কিয়দ রে মানসরোবর নামক একটা সুগভীর জলাশয় আছে। ইহা মান-সিংহ কর্তৃক মনসা ও খনিত হইয়াছিল, এই সরোবরের চতুৰ্দিকে প্রায় ৫০টা মঠ ইত্যাদি। মঠ আছে, সে সকল মঠের মধ্যে রাম লক্ষণ ও দত্তাত্ৰেয় মূৰ্ত্তিই উল্লেখযোগ্য, ইহা ছাড়া প্রায় এক সহস্ৰ দেব-মূৰ্ত্তি এখানে -محبة আছে। মান-সরোবরের অল্পদুরেই মহারাজা মানসিংহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মানেশ্বর শিবলিঙ্গ বিদ্যমান । মানেশ্বর লিঙ্গের পশ্চিমদিকে তিলভাণ্ডেশ্বরের মন্দির । মন্দির-মধ্যস্থ তিলভাণ্ডেশ্বর মূৰ্ত্তি প্ৰস্থে দশ হাত এবং উচ্চে প্ৰায় তিন হাত । সর্বসাধারণের মধ্যে लिब्लङाg७श्द्र । VS y